বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে ক্ষুব্ধ ইসলামাবাদ ইতিমধ্যেই ভারতের সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। সমঝোতা এক্সপ্রেসের পর সোমবার দিল্লি-লাহোর বাস পরিষেবাও বন্ধ করল ইমরান খানের সরকার। এসব সত্ত্বেও এদিন নিয়ম মেনে মিষ্টি হাতে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়েছিলেন বিএসএফের আধিকারিকরা। আটারির জয়েন্ট চেক পোস্টে কর্মরত এক সিনিয়র বিএসএফ অফিসার জানান, এবছর তাঁদের সঙ্গে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের মিষ্টি বিনিময় হয়নি। কারণ, পাকিস্তান শুভেচ্ছা নিতে নারাজ। বিএসএফের অমৃতসর সেক্টরের ডিআইজি জে এস ওবেরয় জানান, শুভেচ্ছা বিনিময়ের বার্তা পাঠানো হয়েছিল পাকিস্তানি রেঞ্জার্সকে। রবিবার রাত পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনও উত্তর আসেনি।
ঈদের পাশাপাশি দীপাবলি, হোলি, স্বাধীনতা দিবস এবং সাধারণতন্ত্র দিবসে সীমান্তে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে মিষ্টি বিনিময় হয়। এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। কিন্তু ঈদে নিয়মে ছেদ পড়ল। ১৪ এবং ১৫ আগস্ট দু’দেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা বিনিময় হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পাঞ্জাব ফ্রন্টিয়ারের এক সিনিয়র বিএসএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা পাকিস্তানি রেঞ্জার্সকে মিষ্টি নেওয়ার প্রস্তাব দেবেন। নেবে কি না, তা পাকিস্তানের উপর নির্ভর করছে। সেই সম্ভাবনাও যে বেশ কম, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
শনিবার আটারি চেক পোস্টের মাধ্যমে যাবতীয় বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। সমঝোতার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে প্রতিটি বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর দেশে ফিরে এসেছেন পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসরিয়া। একইসঙ্গে নয়াদিল্লি থেকে পাক হাই কমিশনারকে তুলে নিয়েছে ইমরান খানের সরকার। এরই মধ্যে খবর হল, কেন্দ্রশাসিত লাদাখের কাছে স্কার্দু বিমান ছাউনিতে পাকিস্তানি বায়ুসেনার তিনটি সি-১৩০ যুদ্ধবিমানকে নামতে দেখা গিয়েছে। বিষয়টির উপর নজর রেখেছে নয়াদিল্লি।
ভারত-পাক মিত্রতা বিষয়ক যুগ্ম সচিব দীপকাল বালি বলেন, দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ধীরে ধীরে বাড়ছে। কিন্তু সীমান্তে মিষ্টি বিনিময় বন্ধ হয়ে যাওয়াটা খুবই দুঃখের। এটা আমাদের পরম্পরা। সকলের মানা উচিত। জানুয়ারিতে সাধারণতন্ত্র দিবস এবং জুনের ঈদে শেষ মিষ্টি আদানপ্রদান হয়। এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে সার্জিক্যাল স্টাইকের পর বিএসএফের দীপাবলির শুভেচ্ছা গ্রহণ করেনি পাকিস্তানি রেঞ্জার্স।