বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এরকম একটা অবস্থায়, সিইউজি সিমকার্ড চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যে এই উদ্যোগ কার্যত বিফলে যেতে বসায় ক্ষুব্ধ পূর্ত দপ্তর ফের বিশেষ নির্দেশিকা বের করতে বাধ্য হল। চলতি আগস্ট মাসের ছয় তারিখে পূর্ত দপ্তরের যুগ্ম সচিবের (পি) জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে যতই উচ্চপদে আসীন থাকুন না কেন, যাঁরা সিইউজি সিমকার্ড নিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে তা বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে। নির্দেশকায় দেওয়া না থাকলেও, পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই সিইউজি সিমকার্ড সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেও এই নিয়ে আরও দু’বার আধিকারিকদের সতর্ক করা হল। এরপরেও যদিও তাঁরা তা ব্যবহার না করেন, বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প থাকবে না।
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভাগীয় কাজকর্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান সচিব (ক্যাটিগরি ১) থেকে শুরু করে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (ক্যাটিগরি ৪) পর্যন্ত ৩৩০০ আধিকারিক রয়েছেন। ক্যাটিগরি ১’এ প্রধান সচিব ছাড়াও রয়েছেন, অতিরিক্ত সচিব, উপ সচিব, যুগ্ম সচিব, প্রযুক্তি সচিব, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ ইঞ্জিনিয়ার, সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার, সুপারিন্টেন্ডিং আর্কিটেক প্রমুখ। ক্যাটিগরি ২-এ রয়েছেন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর, প্রজেক্ট ম্যানেজার, চিফ রিসার্চ অফিসার (রোড অ্যান্ড বিল্ডিং) প্রমুখ। ক্যাটিগরি ৩-এ রয়েছেন রিসার্চ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাকাউন্টস অফিসার, সহকারী সচিব প্রমুখ এবং ক্যাটিগরি ৪-এ রয়েছেন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা। পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসে সিইউজি সিমকার্ড চালু করার পর ক্যাটিগরি ১ ও ২’এর ৪০০-র মধ্যে ৩৮৭ জন, ক্যাটাগরি ৩’এর ৯০০-র মধ্যে ৭১৩ জন এবং ক্যাটাগরি ৪’এর ২০০০-র মধ্যে ১৪৫৮ জন আধিকারিক ওই সিমকার্ড নিয়েছিলেন।
পূর্ত দপ্তরের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, চলতি আগস্ট মাসে নানা প্রকল্পের কাজে অগ্রগতির বিষয় খতিয়ে দেখতে গিয়ে যে তথ্য সামনে আসছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, যে সব শীর্ষ আধিকারিককে হোয়াটসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে জরুরি মেসেজ পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ তা দেখছেন না, আবার কেউ তা দেখেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। যে উদ্দেশ্যে ওই সিমকার্ড চালু করা হয়েছিল, অর্থাৎ সমন্বয় সাধন, সেই কাজটিই এতে ব্যাহত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই নতুন নির্দেশিকা জারি করতে হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, দপ্তরের জরুরি বৈঠকে ঠিক হয়েছে, যে সমস্ত আধিকারিককে সিইউজি সিমকার্ড দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের সবাইকে তা বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে।