বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
অন্যদিকে, বিজেপির তরফে কলকাতা পুলিসে কর্মরত এক ডাইরেক্ট আইপিএস-এর নাম বাছা হয়েছে। যিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক এমপি’র ‘লোক’ বলে দাবি করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। কলকাতার প্রাক্তন পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের পর মূলত তাঁরই নির্দেশে বিজেপি এবং আরএসএস নেতাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা কেস’ রুজু হচ্ছে বলে পদ্ম শিবিরের দাবি। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, আইপিএস’রা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ। সার্ভিস রুল অনুসারে এই পুলিস অফিসারদের ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান হওয়া উচিত। কিন্তু শাসকদলের হয়ে ব্যাট করে এই পুলিসকর্তা কলকাতা পুলিসে একাধিক শাঁসালো ‘পোস্ট’ উপহার হিসেবে পেয়েছেন। যদিও নয়া নগরপাল অনুজ শর্মা লোকসভা ভোটের পর দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পেয়ে তাঁকে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন বলে লালবাজার সূত্রের দাবি। অন্যদিকে, সিআইডিতে দীর্ঘদিন একইপদে থাকা এক প্রোমোটি আইপিএস-এর নামেও নালিশ জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে ওই অফিসারকে কার্যত অত্যাচারী আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, বিজেপি এবং আরএসএস সম্পর্কিত মামলায় ওই পুলিস অফিসার বাড়তি সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন। অভিযোগ, সঙ্ঘের কয়েকজনকে তুলে এনে ‘অ্যারেস্ট’ না দেখিয়ে পুলিসে ছুঁলে ১৮ ঘা-এর মর্ম বুঝিয়েছেন। সম্পূর্ণ অনৈতিভাবে এই দুই অফিসার গেরুয়া শিবিরের লোকজনের উপর অত্যাচার করছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
দলের এক নেতার বক্তব্য, রাজ্যের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে কলকাতা ও জেলার উচ্চ পর্যায়ের পুলিস অফিসাররা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছেন। বছর দু’য়েক আগেও যা ছিল কার্যত কল্পনার অতীত। বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আগের মতো বাধা আসছে না। আমাদের মূল দাবি, পুলিস-প্রশাসন নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করুক। তার মধ্যে এই দুই পুলিস অফিসার নিজেদের তৃণমূলী প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। এর বিচার চেয়ে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছি। অন্যদিকে, জঙ্গলমহল সহ কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনের ‘সহজ শিকার’ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কয়েকজন জেলা সভাপতির। তাঁদের উপযুক্ত নিরাপত্তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।