বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
রবিবার বিকেল। ছেলে এবং স্ত্রীর চিন্তায় উদ্বিগ্ন শরৎ উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাথর সরাতে শুরু করেন। মনের কোণে ক্ষীণ আশা, যদি কোনও ভালো খবর পাওয়া যায়। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধার হল গীতু এবং ধ্রুবের নিথর দেহ। মাটি এবং পাথরের স্তূপ সরাতেই প্রকাশ্যে এল এমন একটি দৃশ্য, যার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ার সময় দেড় বছরের ছেলে ধ্রুবকে কোলে জড়িয়ে ধরে ছিলেন শরতের স্ত্রী গীতু (২১)। প্রকৃতির রোষও সন্তানকে তার মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিতে পারেনি। ঘটনার দু’দিন পরও নিথর গীতু জড়িয়ে ধরে আছেন ধ্রুবকে।
এই দৃশ্য দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। আশঙ্কা আগেই করেছিলেন। তবুও মনের কোণে কিছুটা আশা ছিল। গীতু এবং ধ্রুবর দেহ উদ্ধারের পর সব শেষ। স্ত্রী এবং দেড় বছরের ছেলের নিথর দেহের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে শরৎ। স্ত্রী এবং ছেলের পাশাপাশি শরতের মা সরোজিনীর দেহ সোমবার সকালে উদ্ধার হয়। মালাপ্পুরুম জেলার কোট্টাক্কুন্নু এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন শরৎ এবং তাঁর পরিবার। একদিনের পাহাড়ি ধসে সব শেষ।