বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
রাজ্য হেরিটেজ কমিশন এ জেলার ১৫৫টি সরকারি ও বেসরকারি জায়গা চিহ্নিত করে সম্প্রতি সেগুলি হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নোটিফিকেশনও জারি করা হয়েছে। এই জায়গাগুলির বেশিরভাগই সরকারি ও বেসরকারি অধীনে রয়েছে। এই সব জায়গার যাতে কোনওরূপ পরিবর্তন না করা হয় ও সেগুলি হস্তান্তর না করা হয়, সেজন্য কোচবিহার পুরসভার পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। একই সঙ্গে কোচবিহার পুরসভার পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রি অফিসকে চিঠি দেওয়া হবে, যাতে ওই জায়গাগুলি কেউ বিক্রি করতে না পারে।
মহারাজাদের আমলে কোচবিহার একটি স্বাধীন রাজ্য হিসাবে সুখ্যাতি অর্জন করেছিল। মহারাজাদের উদ্যোগে কোচবিহার শহরে বিভিন্ন পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়। কোচবিহারে রাজবাড়ি, মদনমোহনবাড়ি থেকে শুরু করে আরও বড় বড় ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। এছাড়াও শহরের ভিতরে বেশ কিছু বড় দিঘি, মন্দির প্রভৃতি গড়ে উঠেছিল। রাজাদের তৈরি করা এই সব নিদর্শনের পাশাপাশি সেই আমলের আরও বহু কিছুর চিহ্ন রয়ে গিয়েছে শহরে। এখন কোচবিহার রাজবাড়ি একটি দর্শনীয় স্থান। মদনমোহন মন্দিরে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন। প্রতি বছর রাসমেলা উপলক্ষ্যে এখানে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। সব মিলিয়ে কোচবিহারে পর্যটন শিল্পের প্রসারের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে কোচবিহারের এই সব জায়গার উপরে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেই সমীক্ষা শেষে মোট ১৫৫টি জায়গাকে তালিকাভুক্ত করে সেগুলিকে হেরিটেজ স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এখন এই জায়গাগুলিকে যাতে কোনওভাবেই আর পরিবর্তন করা না হয় তারই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরসভার দাবি, পুরানো দিনের ওই ধরনের স্থাপত্য শহরে আরও ছিল। সেগুলি দেখভালের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আর নতুন করে যাতে কোনও ক্ষতিসাধন না হয় তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন সরকারি উদ্যোগে যে জায়গাগুলিকে হেরিটেজ হিসাবে চিহ্নিত করে নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে, সেই জায়গাগুলিকে আগামী দিনে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। তাহলে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে কোচবিহার আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের ভূষণ সিং বলেন, কোচবিহারের মোট একশো পঞ্চান্নটি জায়গাকে হেরিটেজ স্থান হিসাবে চিহ্নিত করে নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে। তারপর আমরা সরকারি ও বেসরকারি মালিকানায় যে সমস্ত হেরিটেজ স্থান রয়েছে সেই জায়গাগুলির বর্তমান মালিকদের চিঠি দিতে শুরু করেছি। ওই সব জায়গার গঠনের যাতে কোনও পরিবর্তন না করা হয় সেই কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই সব জায়গা যে কোনওভাবেই হস্তান্তর করা যাবে না, তারও উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে, আমরা রেজিস্ট্রি অফিসকেও চিঠি দিয়ে জানাব যে কোনওভাবেই যাতে এই সব জায়গা কেউ বিক্রি করতে না পারে।