বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
কৃষকরা বলেন, বিগত বছরগুলিতে আগস্ট মাসের শুরুতে বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও এমন পরিস্থিতি গত ১০-১২ বছরের মধ্যে হয়নি। চড়া রোদে ধানের গাছ হলুদ হয়ে যাচ্ছে। সেচের জল, সার দিয়েও কাজ হচ্ছে না। এমনটা আর সপ্তাহ খানেক চলতে থাকলে ফসল ঘরেই তোলা যাবে না।
কোচবিহার সদর মহকুমা কৃষি আধিকারিক গোপালচন্দ্র বর্মা বলেন, এবারে জেলায় বর্ষার শুরুতে গড় বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় ১০০ শতাংশ জমিতেই আমনের চাষ হবে বলে আমরা আশাবাদী ছিলাম। ইতিমধ্যেই ৯২ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ হয়ে গিয়েছে। তবে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি না হওয়া এবং চড়া রোদের কারণে জমিতে লাগানো আমনের চারা শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আগাছাও বাড়ছে। ফলে স্বাভাবিক নিয়মে ফলনে মার খাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। চারাগাছ হলুদ হয়ে যাচ্ছে। এখনই বৃষ্টির দরকার।
কোচবিহার জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবছর জেলার ২ লক্ষ ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। গত বছর প্রায় ৯০ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছিল। এবারে জুলাই মাসে আমন ধান বোনা শুরু হয়। সেসময়ে বৃষ্টি থাকায় কৃষকরা খুশি ছিলেন। কিন্তু জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জেলায় যেভাবে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে তাতে মাথায় হাত পড়েছে আমন ধান চাষিদের। কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, গতবছর এই সময়ে জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছিল ১৬৭১.৬ মিলিমিটার। এবারে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে এর অর্ধেক। এখনও আমন ধান লাগানোর কাজ চলছে। গত মাসের শেষ সপ্তাহের হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা কৃষকরা লাগিয়েছেন। সোমবারও জেলায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এর ফলে আমনের চারা রোদে পুড়ে যাচ্ছে। জমিও জলের অভাবে ফেটে যাচ্ছে। শুকনো জমিতে আগাছা গজাচ্ছে। উঁচু জমিতে আমনের চারা থেকে আগাছা লম্বা হতে শুরু করেছে। কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জেলায় আমন ধান খেতে নিড়ানি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু এবারে যা পরিস্থিতি তাতে নিড়ানি না দিলে আমন ধান ঘরে তুলতেই পারবে না কৃষকরা। একইসঙ্গে আগাছা বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগপোকার আক্রমণও বাড়বে। ফলে ফলনে ব্যাপক পরিমাণে মার খাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ১২টি ব্লকের সর্বত্রই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চড়া রোদ থাকায় সেচের জল কাজে আসছে না।