বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
২০১৪ সালে আলিপুর থানায় তাণ্ডব চলার সময় কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের টেবিলের তলায় লুকোতে দেখা গিয়েছিল উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচতে। সেখানেও শাসকদলের নেতারা তাণ্ডব চালিয়ে পালায়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল টালিগঞ্জে। নতুন সিপি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কলকাতা পুলিসের হারিয়ে যাওয়া মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছেন। একাধিক পদক্ষেপও নিয়েছেন। সমস্ত থানার ওসিদের কাছে নির্দেশ গিয়েছে, লালবাজারের কন্ট্রোল রুমকে সব ঘটনা জানাতে হবে। যাতে প্রয়োজন মতো ফোর্স পাঠানো যায়। চটজলদি ব্যবস্থা নিলে দুষ্কতীরা ধরা পড়ে। পাশাপাশি সমন্বয় বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে কোথাও কোনও ফাঁক না থাকে।
কিন্তু কোনও কোনও অফিসার এখনও পুরনো সংস্কৃতি ছেড়ে বেরতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠছে। যার উদাহরণ হল টালিগঞ্জ থানা। সূত্রের খবর, লালবাজারকে জানানো তো দূর, উপরতলাকেও সময় মতো ঘটনার কথা বলেননি এখানে কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের একাংশ। যে কারণে উত্তেজিত জনতা তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে অনায়াসেই। জানা যাচ্ছে, ঘটনা নিয়ে থানার তরফে প্রথমে উঁচুতলাকে জানানো হয়, বিষয়টি তেমন কিছু নয়। মিটে যাওয়ার পথে। অথচ তখন থানার ভিতরে ঢুকে গিয়েছে উন্মত্ত জনতা। আর তাতেই অসন্তুষ্ট হয়েছেন কর্তারা। আগেভাগেই জানানো হলে এই ধরনের ঘটনা শুধু আটকানোই নয়, থানায় ঢুকতেই পারত না স্থানীয় লোকজন। অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে দেওয়া যেত। তার চেয়ে বড় বিষয় হল, হামলা চালিয়ে যাওয়ার পর থানায় কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা কেস রুজু করতেও উৎসাহ দেখাননি। ঘটনা জানার পর শীর্ষকর্তাদের নির্দেশ ছিল, কোনওভাবেই বিষয়টি হাল্কাভাবে নেওয়া যাবে না। কেস রুজু করতে হবে। কেস নিয়ে বড়কর্তারা সকালে খোঁজখবর শুরু করতেই টনক নড়ে থানার। তড়িঘড়ি মামলা রুজু হয়। ততক্ষণে বারো ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কার নির্দেশে থানা কেস লেখার ক্ষেত্রে গড়িমসি করছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
তবে এই ঘটনাকে যে লালবাজার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন শীর্ষকর্তারা। সোমবার বিকেলে যুগ্ম কমিশনার, অপরাধ দমন, মুরলীধর শর্মা থানায় যান। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন। সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি।