বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাজিরাবিবি পাঁচ দিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হন। বাড়িতে চিকিৎসা করানোর সময় তিনি গত শনিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিন তাঁর রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। রবিবার সকালে বারাসত জেলা হাসপাতালে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করানো হয়। রবিবার রাতে চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত গৃহবধূর এক কাকিমাও জ্বরে আক্রান্ত রয়েছেন। শনিবার এই আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাপোল গ্রামে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিবানী দে’র (৩২) মৃত্যু হয়। এই নিয়ে গত চার দিনে দেগঙ্গা এলাকায় মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিকুরিয়া ঝিকুরিয়া ও কলাপোল গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় পঞ্চায়েত বা প্রশাসনের কোনও সক্রিয় ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। সেকারণে দ্রুত ডেঙ্গু এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, হাবড়া ও অশোকনগর এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশ জটিল আকার নিয়েছে। নতুন করে কোনও মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও এলাকার বহু মানুষ নতুন করে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। রবিবার হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসকরা আসেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। জ্বরে আক্রান্ত যেসব রোগীর রক্ত পরীক্ষা হাসপাতালে হয়েছে তাঁদের রক্তের নমুনাও নেন। ওই রক্ত ফের নতুন করে তাঁরা পরীক্ষা করবেন। এদিকে, হাবড়া এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য বিধাননগর পুরসভা থেকে ফগিং মেশিন আনা হয়েছে। এলাকা মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য ফগিং মেশিন কাজে লাগানো হয়েছে।
বারাসতের মহকুমাশাসক তাপস বিশ্বাস বলেন, হাবড়ার পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মঙ্গলবার দেগঙ্গায় ডেঙ্গু সংক্রান্ত সচেতনতা শিবির আয়োজন করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।