বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এখানকার ব্যবসায়ীরা কলকাতার বড়বাজারে রাখী তৈরির জন্য বরাত পান। তবে এখন তাঁদের বরাত অনেক কমে গিয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা বলেন, কলকাতায় চায়না রাখীর বিক্রি বেশি। অল্প দামে রকমারি চায়না রাখী পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি রানাঘাট, শান্তিপুরের বাজারেও ঢুকছে এই মিউজিক দেওয়া রাখী। তাই আমরা উদ্বিগ্ন। তার ওপর ব্যবসায় জিএসটি ও নোটবন্দির প্রভাবও পড়েছে। ভিন রাজ্যে বন্যা হওয়ার কারণেও রাখীর বাজারে কিছুটা ভাটা পড়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের বাইরে রাখী পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া, রাখী তৈরির পর মার্কেটে ডেলিভারি করার সময় সম্পূর্ণ অর্থ মহাজনরা দিতে চায় না। তারা সারা বছর ধরে অল্প অল্প করে টাকা দেওয়ার কারণে লাভের অংশ কার্যত চোখে দেখা যায় না।
শরৎপল্লি এলাকার অনেক পরিবার এই রাখী ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে বেশিরভাগ পরিবার সারা বছর জামা কাপড় সেলাইয়ের ব্যবসা রয়েছে। রাখীর মরশুমে তাদের পরিবারের মহিলারা বা অন্যান্য কারিগর দিয়ে রাখী তৈরি করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর আগে থেকে এখানে রাখী তৈরির কাজ চলছে। এখানকার রাখী রানাঘাটের পাশাপাশি কলকাতার বড়বাজারের পাইকারি দোকানে বেশি সাপ্লাই করা হয়। অন্যদিকে, এখানকার রাখি দিল্লি, মুম্বাই সহ একাধিক রাজ্যে যায়। এক একটি পরিবার মরশুমে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার রাখী বাজারে সাপ্লাই করেন। আগে এখানে প্রতিটি ঘরে ঘরে রাখী তৈরি হতো। কিন্তু, এখন মুনাফা কম হওয়াতে অনেকেই এই ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাই আগের থেকে এখানে রাখী তৈরির পরিবারের সংখ্যা কমেছে।
ব্যবসায়ী পরেশ নন্দী বলেন, আমরা সারা বছর জামা কাপড় তৈরি করার কাজ করি। সেই কাজে ছাঁটমাল বের হয়। তা থেকে আমরা রাখী তৈরি করি। তবে কিছু কাঁচামাল আমাদের কিনতে হয়। তার দামও এখন বেড়েছে বহুগুণ, কিন্তু, সেই অর্থে রাখীর দাম বাড়েনি। আগে প্রত্যেক মরশুমে লাভ হতো। কিন্তু এখন লাভ ধরে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমানে বাজারে চায়না রাখীর কদর বেড়েছে। কম দামের মধ্যে এই রাখী আকর্ষণীয় হওয়ায় অনেকেই তা কিনছে। তবে এখন রাজনৈতিক দলগুলি রাখী বন্ধন উৎসব পালন করায় কিছুট হলেও রাখীর ব্যবসাকে সামাল দেওয়া যাচ্ছে।