বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
গত ৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রত্যেক ব্লকে এব্যাপারে চাষিদের সচেতনতা গড়ে তুলতে সচেতনতামূলক আলোচনা হয়েছে। যেখানে চাষি, পঞ্চায়েতের সদস্য, কৃষি দপ্তরের কর্তারা অংশগ্রহণ করছেন। দপ্তরের কর্তারা বলছেন, এই পরামর্শ চাষিরা মানলে কম বৃষ্টিতেও চাষের কাজে কোনও প্রভাব পড়বে না। বর্তমানে এই পন্থা একবারেই যুগপোযোগী। এতে একদিকে নিজের পাট নিজের পুকুরেই পচানো যাবে। তেমনই বহুমুখি চাষের কাজেও পুকুরকে ব্যবহার করা যাবে। সঙ্গে গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জও হবে।
নদীয়ার কৃষি দপ্তরের উপ কৃষি অধিকর্তা(প্রশাসন) রঞ্জন রায় চৌধুরী বলেন, এ বছর দক্ষিণবঙ্গে তীব্র জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সমস্ত ধরনের চাষই এতে প্রভাবিত হয়েছে। পাট চাষিদের সমস্যায় আরও বেশি পড়তে হয়েছে। কারণ, উপযুক্ত জলধারের অভাব চারিদিকে। এই জন্যই আমরা নিজেদের জমিতে পুকুর কাটার পরামর্শ দিয়েছিলাম। অনেকেই সেটা মেনে কাজ করছেন। চাষিদের আমরা বিষয়টি বোঝাতে পেরেছি, এটা দেখে খুব ভালো লাগছে।
দপ্তরের এক কর্তা বলেন, পাট পচানোর জন্য নিজের জমির যেদিকে ঢাল রয়েছে, সেদিকে ৩ শতক জমিতে একটি ছোট পুকুর বা ডোবা খনন করতে হবে। এই জলাধারে একসঙ্গে অনায়াসে এক বিঘা জমির পাট পচানো সম্ভব। পুকুরের আকার গোলাকার বা আয়তাকার হতে পারে। দৈর্ঘ্য হবে ৪০ ফুট, প্রস্থ ৩০ ফুট এবং ৪ ফুট গভীর হবে। পাড়ের উচ্চতা হবে ১ থেকে ২ ফুট। বর্ষার জল বা পাম্প চালিয়ে পুকুরটি ভরাট করতে হবে। তার আগে যদিও তলদেশে তারপলিন দিতে হবে। এতে একদিকে যেমন কাঁচাপাট বহন খরচ কমবে, অন্যদিকে জলাধার খুঁজতে হবে না। সঙ্গে জল চুঁইয়ে মাটির ভিতরে জল প্রবেশ করায় জমির তলদেশে জলের যোগান বাড়বে। পুকুরটিকে বৈজ্ঞনিক পদ্ধতিতে বহুমুখি চাষের কাজে ব্যবহার করা যাবে। হাঁসখালি ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় পাটের জমির এক পাশের ফাঁকা অংশ এভাবে কাটার কাজ শুরু হয়েছে। যা দেখে কৃষি দপ্তরের কর্তারা আশাবাদী, অচিরেই এই পদ্ধতি জেলাজুড়ে জনপ্রিয় হবে।