বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
অন্যদিকে, এরই অনুষঙ্গ হিসেবে কর্মী বদলির মামলায় কেন্দ্রীয় পূর্তদপ্তরের ডিজিকে আদালতের (ক্যাট) কাছে মাথা নত করতে হয়েছে। ওই মামলায় আদালতের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও অফিস পুনর্গঠনের উদ্যোগ হিসেবে কর্মীদের রদবদল করায় সিপিডব্লুডি’র ডিজি প্রভাকর সিং আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সংস্থার পুনর্গঠনের জন্যই ওই বদলি দেখানো হলেও তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয় কেন্দ্রীয় পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁদের অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। ডিওপিটি অর্থাৎ ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের গাইডলাইনও অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ। যদিও আদালত অবমামনার ওই মামলায় প্রভাকর সিং ফের ক্যাটের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন।
কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন এবং আবাসন মন্ত্রকের অধীন প্রিন্টিং ও স্টেশনারি দপ্তর এবং কেন্দ্রীয় পূর্তদপ্তরের অফিস এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। যার মধ্যে কলকাতার ২৪টি অফিসের মধ্যে ১৭টি সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ কলকাতায় কেন্দ্রীয় পূর্তদপ্তরে বছরে ৫৭০ কোটি টাকার কাজের সুযোগ রয়েছে বলেই অ্যাসোসিয়েশনের দাবি। যেখানে বিহার, মুম্বই, চেন্নাই, ঝাড়খণ্ড, উড়িশায় সুযোগ কম। তা সত্ত্বেও কলকাতা থেকে অফিস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগীয় কাউন্সিলের যে বৈঠক হয়, সেখানে পদাধিকারবলে জেসিএমের চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় পূর্তদপ্তরের পুনর্গঠনের বিষয়টি নিয়ে কর্মীদের মধ্যে যে ক্ষোভ বিক্ষোভ, দাবিদাওয়া উঠছে তা খতিয়ে দেখা হোক। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুনর্গঠনের নামে উপযুক্ত কোনও পরিকল্পনা না করেই কলকাতা থেকে অফিস রাঁচি সহ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দেশের অন্য শহরেরও প্রায় একই ঘটনা হচ্ছে। এই অভিযোগে প্রতিবাদে সরব হয় ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন। মামলা গড়ায় আদালতে (ক্যাট)।
তারই শুনানিতে গত পয়লা আগস্ট ক্যাটের বেঙ্গালুরু বেঞ্চের বিচারপতি কে বি সুরেশ এবং সি ভি শঙ্কর সম্প্রতি কেন্দ্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন। কেন্দ্রীয় পূর্তদপ্তরের কর্মীদের সহমতে না নিয়ে কেন এভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিবের পর্যবেক্ষণকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। বলেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব ফের একটি জাতীয়স্তরের জেসিএম বৈঠক ডাকুন এবং কর্মীদের বক্তব্য শুনুন। তারপরই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।