বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
রাজ্যে উৎপাদিত সব্জি ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়। ফড়েদের মাধ্যমে এই বিপণন মূলত চলে। এর ফলে চাষিরা ভালো দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। ভিন রাজ্যে চড়া দামে সব্জি বিক্রি হয়। কিন্তু তার লাভের গুড় খেয়ে যায় মাঝের কারবারিরা। অনলাইন বিক্রির ব্যবস্থায় চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীদের বিক্রি করতে পারবেন। অনলাইনে ই-অকশনের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ হবে। ফলে চাষিরা ভালো দাম পাবেন।
কেন্দ্রীয় সরকার ই-এনএএম প্রকল্পের জন্য বিশেষ পোর্টাল তৈরি করেছে। চাষিদের পাশাপাশি কৃষিপণ্যের ব্যবসায়ীরা ওই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করছেন। নথিভুক্ত চাষিদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ছবি তুলে তা পোর্টালে আপলোড করে দেওয়া হবে। ওই ছবি দেখে কোনও ব্যবসায়ীর পছন্দ হলে তিনি ই-অকশনের মাধ্যমে তা কিনবেন। কেনার পর দাম পাঠিয়ে দেওয়া হবে চাষির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তারপর বাজার থেকে ব্যবসায়ী ওই কৃষিপণ্য নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। কৃষিপণ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করার ব্যবস্থাও বাজারগুলিতে করা হচ্ছে বলে দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। ছবির সঙ্গে গুণগত মানের রিপোর্টও দেওয়া হবে।
অনলাইনে কৃষিপণ্য কেনাবেচা করার জন্য লাইসেন্স ব্যাবস্থার সংস্কার আইন সংশোধন রাজ্য সরকার আগেই করেছে। এখন গোটা রাজ্যে সব্জির পাইকারি ব্যবসা করার লাইসেন্স পাওয়া যায়। আগে পাইকারি বাজার ভিত্তিক লাইসেন্স দেওয়া হতো।
এদিকে, রাজ্যে উৎপাদিত সব্জি বিদেশে রপ্তানির উপরও জোর দিয়েছে কৃষি বিপণন দপ্তর। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের নলহাটি থেকে ইংল্যান্ডে কচু ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। নদীয়ার করিমপুরের কচুও এবার বিদেশ যাত্রা করছে। রপ্তানিকারক সংস্থাগুলিকে সাহায্য করছে কৃষি বিপণন দপ্তর।