বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন খড়িবাড়ি থানা এলাকায় মাদক কারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এনিয়ে তিতিবিরক্ত। তাঁরা এ ব্যাপারে স্থানী থানায় বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই মতো খড়িবাড়ি থানার পুলিস রবিবার রাতে গৌরসিংরোড এলাকায় মহিলার ওই দোকানে হানা দেয়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকানে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু ট্যাবলেটের পাতা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ, বিনা প্রেসক্রিপশনে সেই দোকান থেকে ওই ট্যাবলেটগুলি বিক্রি করা হতো। রাতেই দোকানের মালকিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার ধৃত মহিলাকে শিলিগুড়ি এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে আটদিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
ধৃতের আইনজীবী তাপস সরকার বলেন, মাদক কারবারের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে ওই মহিলাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃত মহিলা ওষুধের কোনও কারবার করেন না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের রোগে ভুগছেন। তিনি নিজেই ওই গ্যাসের ট্যাবলেট খেতেন। সেজন্য সেই ট্যাবলেট দোকানের ক্যাশ বাক্সে রেখে ছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁর কোনও কথা না শুনেই ওষুধের অবৈধ কারবার চালানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
খড়িবাড়ি থানার এক পুলিস অফিসার বলেন, ওষুধ বিক্রি করতে হলে ড্রাগ লাইসেন্স থাকা দরকার। সেই লাইসেন্স ছাড়া কেউ ওষুধ বিক্রি করতে পারেন না। অবৈধভাবে ওষুধের কারবার চালানোর অভিযোগ রয়েছে ওই মহিলার বিরুদ্ধে। ধৃত মহিলা যে পেটের বা গ্যাসের রোগে আক্রান্ত, সে ব্যাপারে তিনি ডাক্তারের কোনও প্রেসক্রিপশন দেখাতে পারেননি। তাঁর কাছ থেকে ১, ২টি নয়, ১২টি ট্যাবলেটের পাতা মিলেছে। এতগুলি ওষুধের পাতা তিনি নিজে খাওয়ার জন্য মজুত রাখবেন তা মানা যায় না।
অন্যদিকে, খড়িবাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই মাদক কারবার রমরমিয়ে চলছে। অভিযোগ, পুলিসের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে চা, পান ও মুদি দোকানের আড়ালে ওই কারবার চালাচ্ছে ড্রাগ মাফিয়ারা। গাঁজার পাশাপাশি তারা হেরোইন বিক্রি করছে। এই নেশার ছোবলে পড়ে বিপথগামী হচ্ছে এলাকার যুবকরা। সর্বস্বান্ত হচ্ছে পরিবার। তাই এলাকার মহিলারা মাদক কারবারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার মহিলারা ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন দোকানে ও বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন। রবিবার রাতে গৌরসিং রোড এলাকাতেও পুলিস এমনই অভিযানে নেমেছিল।
পুলিস ও গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এখানকার মাদক কারবারিদের সঙ্গ মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার মাদক কারবারিদের যোগাযোগ রয়েছে। সেখানকার কারবারিরা এখানে এসে মাদক সরবরাহ করে। তা বিভিন্ন ব্যবসার আড়ালে বিক্রি করা হয়। এই কারবারের সঙ্গে শুধু পুরুষরা নয়, এলাকার কিছু মহিলাও জড়িত রয়েছে। বেআইনিভাবে ওষুধ বিক্রির অভিযোগ ধৃত মহিলার সঙ্গে মাদক কারবারের যোগাযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।