বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বাইরে থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আসা মানুষদের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন হোটেল, লজ, স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডগুলিতে লাগাতার নজরদারি চলছে। পুলিসের বিশেষ দল স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ সহ বিভিন্ন দল আরও সক্রিয় হয়েছে। কোনওভাবেই উত্তর দিনাজপুরের সীমান্ত এলাকা বা দীর্ঘ বিস্তৃত জাতীয় সড়ককে কাজে লাগিয়ে কোনও অপরাধমূলক কাজ যাতে না হয়, সেদিকে সজাগ নজর রাখছে পুলিস ও বিএসএফ।
ইসলামপুর পুলিস জেলার সুপার শচীন মক্কর বলেন, আমরা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর আরও বেশি করে জোর দিয়েছি। আসন্ন স্বাধীনতা দিবস এবং রাখী পূর্ণিমাকে মাথায় রেখে কোনওরকমের নাশকতামূলক পরিকল্পনা রুখতে আমরা বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যেই সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা সেরেছি। বাইরে থেকে কারা আসছে ও থাকছে তার উপরও নজরদারি চালাচ্ছে আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ। আমরা সবদিক থেকেই তৈরি আছি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তপোক্ত করেছি।
উত্তর দিনাজপুর জেলা ১৮৭ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক ও প্রায় ২২৫ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা নিয়ে গঠিত হয়েছে। এই জেলার জাতীয় সড়ক ও আন্তর্জাতিক সীমান্তকে ব্যবহার করে যেকোনও সময়ে চলে যাওয়া যায় অন্য দেশ বা রাজ্যে। এই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চায় না অপরাধীরা। বিভিন্ন সময়ে অপরাধ করে এসে এই রাস্তা ধরেই ভিনরাজ্যে পালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের রেকর্ড কম নেই। আন্তর্জাতিক সীমান্তকে ব্যবহার করে চোরাচালান এই জেলায় নিত্যদিনের বিষয়। অনেক সময় বিএসএফ ও পুলিসের হাতে চোরাকারবারিরা ধরা পড়ে। বিভিন্ন সময়ে দেশি পিস্তল থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ অপরাধীরা ধরা পড়ে পুলিসের হাতে। গোয়ালপোখর এলাকায় তিন বাংলাদেশি পাচারকারীকে অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগ ছিল কিনা, তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিস।
এই জেলার ভৌগোলিক পরিস্থিতি ও কাশ্মীর নিয়ে দেশে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক উত্তেজনাকে মাথায় রেখে স্বাধীনতা দিবসের আগে সজাগ হয়েছে পুলিস। কাশ্মীরের ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকা ও জাতীয় সড়কে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখতে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশ ছিল। কাশ্মীর ইস্যুর ঠিক কিছুদিনের মধ্যেই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান হওয়ার কারণে সেই ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশে গোয়েন্দা বিভাগকেও সক্রিয় রাখা হয়েছে। নাশকতামূলক কোনও গতিবিধির পরিকল্পনা জেলায় করা হচ্ছে কিনা, সেদিকেও খোজ রাখা হচ্ছে। সন্দেহ হলেই পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করে সমাধান করার চেষ্টা করছে।