বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
সব মিলিয়ে ভূস্বর্গ পুনরায় ভয়ঙ্কর! ফের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা উপত্যকা। একদিকে যেখানে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পাওয়া যাচ্ছে কাশ্মীরে, অন্যদিকে সেখানেই তিনদিন আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। সীমান্তের একাধিক জায়গায় ভারতীয় সেনা ছাউনি টার্গেট করে শেলিং চালায় পাকিস্তান সেনা। বিশেষ করে উরি, তাগধার, কেরান এবং সুন্দরবনি সহ সীমান্তের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এলাকা জুড়ে গোলাগুলি চালায় পাকিস্তান। শুধু ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করেই নয়, সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলিকে টার্গেট করে হেভি শেলিং করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পাল্টা জবাব ভারতীয় সেনার। সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, সীমান্তে নতুন করে বেশ কয়েকটি ঘাঁটি বানিয়েছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, তৈরি হয়েছে বেশ জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাডও। সেগুলিকেই ভারতীয় সেনা টার্গেট করেছে। আর তা গুঁড়িয়ে দিতে পালটা পাকিস্তানকে জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। দু’পক্ষেও গোলাগুলিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত।
ভারতীয় সেনা জানাচ্ছে, পাকিস্তানের দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে। একাধিক নাশকতামূলক কার্যকলাপের পিছনে ইসলামাবাদেরই হাত রয়েছে। সেই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রমাণ ভারতের হাতে রয়েছে। তবে ভারতীয় সেনা প্রত্যেকবারই পাকিস্তানের নাশকতার চেষ্টা ব্যর্থ করে এসেছে। শনিবারের ঘটনা তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
এই ঘটনা এমনকিছু সত্য পুনর্বার প্রতিষ্ঠিত করল, যার ফলে সন্ত্রাসবাদ ও দক্ষিণ এশিয়ায় তার প্রসারের ক্ষেত্রে শুধু ভারতের রাজনৈতিক শ্রেণীই নয়, বিশ্বনেতৃত্ব অত্যন্ত দ্রুত ও সুস্পষ্ট কিছু পদক্ষেপ না-করলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক লড়াইয়ের সাফল্য সুনিশ্চিত করা অসম্ভব। আন্তর্জাতিক সমাজের আশু কর্তব্য, যে-কোনও প্রকার সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আশ্রয় কিংবা সাহায্য করা থেকে পাকিস্তানকে বিরত হতে বাধ্য করা। নয়াদিল্লির লক্ষ্য হওয়া উচিত, রাষ্ট্রসঙ্ঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটোসহ যাবতীয় আন্তর্জাতিক মঞ্চের শীর্ষ নেতৃত্বকে এই সরল সত্যটির বিষয়ে সজাগ করা যে, পাকিস্তানে লালিত সন্ত্রাসবাদ শুধুমাত্র ভারতেরই শিরঃপীড়া হতে পারে না। সন্ত্রাসবাদীরা এমন একটি মতাদর্শহীন ও মানবিকতাহীন যুক্তি দ্বারা চালিত হয়, যা সমস্ত সভ্য সমাজভাবনাকে অস্বীকার করে। পাকিস্তান সরকারকে এই বিষবৃক্ষটি সমূলে উৎপাটিত করতে বাধ্য না-করা গেলে তার বিষ যে-কোনও সময়ে অন্যত্রও সংক্রামিত হতে পারে। সন্ত্রাসবাদের লালনে পাকিস্তানের ভূমিকার নিন্দাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সে-দেশের উপর নিরন্তর চাপ সৃষ্টিও করা। অন্যদিকে, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রথম কর্তব্য, দেশের নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা ও পাকিস্তান নীতিকে রাজনৈতিক লাভের যাবতীয় সমীকরণ থেকে বিযুক্ত করা। এতে দেশেরই মঙ্গল হবে।