শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
শনিবার ডাঃ কার্নি সিং শ্যুটিং রেঞ্জে প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে ২৬ বছর বয়সী এই ভারতীয় শ্যুটার ২৫২.৯ পয়েন্ট স্কোর করে প্রথম স্থানে শেষ করেন। রুপো জেতেন চীনের রুওঝু ঝাও (২৫১.৮)। ব্রোঞ্জ পেলেন চীনের জু হং (২৩০.৪)। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে আটজন মহিলা শ্যুটারের ফাইনালে অপূর্বি রুপো জয়ীর থেকে ১.১ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শেষ করেন। গত বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেই অপূর্বি টোকিও ওলিম্পিকসের কোটা নিশ্চিত করেন। এদিন নিজের ইভেন্টে কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ৬২৯.৩ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে শেষ করেন জয়পুরের এই শ্যুটার। এদিন ১০.১ স্কোর করে চান্ডিলা শুরু করেন। বাকি ২৩ শটের মধ্যে এই একই স্কোরের পুনরাবৃত্তি অপূর্বি করেন আরও একবার। শেষ তথা ২৪তম শটে অপূর্বি ও ঝাও ১০.৫ মারেন। কিন্তু দুটি তিরের আড়াআড়ি ব্যবধানে এগিয়ে থেকে অপূর্বি বাজিমাত করেন। এই ইভেন্টে ভারতের অঞ্জুম মডুগিল দ্বাদশ স্থান পান।
আপাতত অপূর্বি চান্ডিলা আন্তর্জাতিক শ্যুটিংয়ে দ্বিতীয় সোনা জিতলেন। এর আগে ২০১৪ গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছিলেন তিনি। রুপো পেয়েছেন গতবছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে। যে প্রতিযোগিতা থেকে অপূর্বি আগামী টোকিও ওলিম্পিকসের কোটা নিশ্চিত করেন। গতবছর গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমসের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল মিক্সড টিম ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতেন অপূর্বি চান্ডিলা।
উল্লেখ্য, ২০২০ টোকিও ওলিম্পিকসের জন্য ভারত ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বেশি দুটি কোটা নিশ্চিত করে ফেলেছে। তা সত্ত্বে এদিন সোনা জেতার ক্ষেত্রে মোটিভেশনের অভাব হয়নি অপূর্বির। তিনি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল একনম্বর হওয়া। তা হতে পেরে আমি খুশি। সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা রয়েছে। ওলিম্পিকসে ভালো ফল করতে হলে তার আগে টুর্নামেন্টগুলিতে ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স করে যেতে হবে।’ বাংলার জয়দীপ কর্মকারের ছাত্রী বাংলার মেহুলি ঘোষ মিকিউএস(মিনিমাম কোয়ালিফিকেশন স্কোর) ক্যাটাগরিতে ৬৩১ স্কোর করেছেন। ওই ইভেন্টে এটাই সর্বাধিক স্কোর। এর ফলে আইএসএসএফ ইভেন্টে ভবিষ্যতে মেহুলি অংশ নিতে পারবেন। যদিও তিনি এই বিশ্বকাপ শ্যুটিংয়ে ভারতীয় দলের সরকারি প্রতিযোগী নন।
আগামী ওলিম্পিকসে ভারতকে নিয়ে ভালো প্রত্যাশা করছেন ভারতীয় দলের পিস্তল কোচ পাভেল স্মিরনভ। তিনি বলেন, ‘ভারতের শ্যুটিং টিমের ভালো প্রস্তুতি চলছে। মানু ভাকের, অনীশ ভানওয়ালা খুবই প্রতিশ্রুতিবান। আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিলে ওদের অভিজ্ঞতা বাড়বে। র্যাপিড ফায়ার পিস্তলে অনীশের সঙ্গে রয়েছে হিনা সিধু। রয়েছে রাহি সারনোবাট। আমাদের সবার লক্ষ্য টোকিও ওলিম্পিকস।’