পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। পেশাদারি কাজকর্মে হঠাৎ বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যায় বাইকে চেপে লালবাগ মহকুমা আদালত থেকে জিয়াগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। হাজারদুয়ারি প্রাসাদ সংলগ্ন নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিটিউশনের সামনে উল্টোদিক থেকে একটি টোটো এসে তাঁর বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে। বাইক সহ বিশ্বজিৎবাবু রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। প্রতিবাদ করায় ওই টোটোচালক ফোন করে ইউনিয়নের লোকজনকে ডাকে। মুহূর্তের মধ্যে ১০-১২জন চলে আসে। তারপর সকলে মিলে ওই আইনজীবীর উপর চড়াও হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, বাড়িতে অসুস্থ বাবা রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ওষুধ দিতে হয়। সেকারণে তাড়াতাড়ি কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলাম। নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিটিউশনের গেটের কাছে একটি টোটো এসে সরাসরি ধাক্কা মারে। প্রতিবাদ করতেই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। ফোন করে ১০-১২জনকে ডেকে নেয়। সকলে মিলে আমার উপর চড়াও হয়। ওই টোটোচালক আমার মাথায় সজোরে ঘুষি মারলে গভীর ক্ষত হয়ে রক্তপাত শুরু হয়। প্রায় জ্ঞান হারিয়ে রাস্তার উপর পড়ে যাই।
ধস্তাধস্তিতে টোটোচালকও জখম হন বলে জানা গিয়েছে। লালবাগ শ্যামাসুন্দরী বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিনোদ খান বলেন, রাস্তাঘাটে টোটোচালকদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। আমাদের একজন আইনজীবীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। প্রতিবাদ করলে উল্টে মারধর করে। এমনকী, হাসপাতালে এসেও সিনিয়র কয়েকজন আইনজীবীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। মুর্শিদাবাদ থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।