শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
অনেকেই বলছেন, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টে যে বিষয়গুলি উল্লেখ হয়েছিল সেগুলির পুনরাবৃত্তি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনেকে আবার বিষয়টিকে ‘নতুন বোতলে পুরনো মদ’ বলেও সমালোচনা করছেন। এব্যাপারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষার চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওই ঘোষণায় নতুন কিছু বলেননি। জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টে স্পষ্টতই উল্লেখ রয়েছে যে, অনাথ কিংবা যে সকল বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের ভরণপোষণে অক্ষম, সেই সব শিশুর যাবতীয় দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। সেইমতো সব রাজ্যেই শিশু সুরক্ষার টিম কাজ করছে। এরাজ্যে ওই শিশুদের মাসিক ভাতা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও ১৮বছরের নীচে থাকা পড়ুয়াদের বিনামূল্যে শিক্ষাদানের বিষয়টি ‘রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্টে’ আগেই সুনিশ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণা মূলত, সরকারের চালু থাকা স্কিমগুলিকেই ‘রি-প্যাকেজিং’ করতে বলা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওইদিন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণায় যেসব কথা বলেছেন তার সুনির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকা এখনও জারি হয়নি। সম্প্রতি নদীয়ার ধানতলা থানার আড়ংঘাটায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে শৌভিক সাহা এবছর মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী। ছোট ছেলে সৌমিত দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। সদ্য বাবা-মাকে হারানোর ওই দুই ভাইয়ের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রেখা ঘোষ প্রশাসনিক দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। রানাঘাট মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করলেও কোনও নির্দেশিকা এখনও পাইনি। তবে সরকারিভাবে ওরা যাতে সুযোগ-সুবিধা পায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এব্যাপারে নদীয়া জেলা পরিষদের মেন্টর বাণীকুমার রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরাবরই আত্মপ্রচার পছন্দ করেন। তাই তিনি প্রচারে আসার জন্য পুরনো বিষয়গুলি নতুন করে ‘নিজের’ বলে দাবি করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও শিশু যাতে সমস্যায় না পড়ে সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। যদিও বিজেপির নদীয়া উত্তর জেলা সংগঠনের আহ্বায়ক সন্দীপ মজুমদার বলেন, এটা রাজনীতি করার সময় নয়। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী যেসব ঘোষণা করেছেন তা তিনি সরকারের হয়ে ঘোষণা করেছেন।