শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
সেচ দপ্তরের তমলুক ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র অনির্বাণ ভট্টাচার্য জানান, হুগলি, হলদি, রূপনারায়ণ, নিউ কাঁসাই নদী ও কয়েকটি বড় খালের বাঁধের গোড়া শক্ত করতে ব্যাপকহারে ভেটিভার ঘাস লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নদীর স্রোতের প্রাথমিক ধাক্কা সামলাতে ভেটিভার দারুণ কাজ করে। তিনি বলেন, সবচেয়ে ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই নদী বাঁধের তলার মাটির চরিত্র সমীক্ষা করে কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তবে এবার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নদী বাঁধে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেজন্য বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস আটকানোর জন্য স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এজন্য প্রচুর অর্থের দরকার। আপাতত যে কংক্রিটের যে বাঁধ রয়েছে বা যেখানে অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হচ্ছে, সেখানে বাঁধের গোড়ায় ক্ষয় রুখতে ভেটিভার লাগানো হবে।
বনদপ্তর ইতিমধ্যেই নদী ও সমুদ্র ভাঙন ঠেকাতে ইতিমধ্যেই ম্যানগ্রোভ, কেয়া ও ঝাউ জঙ্গলের প্রাকৃতিক বেষ্টনী গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসনকে। জেলা বন আধিকারিক অনুপম খান বলেন, হুগলি, হলদি, রূপনারায়ণ নদী বাঁধের কিছু জাগয়ায় ম্যানগ্রোভ জঙ্গল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এবার বিস্তৃত আকারে শুরু হবে। ভেটিভার ও কেয়া দু’ধরনের উদ্ভিদের মিশ্রণ হলে আরও ভালোভাবে নদীর স্রোতের ধাক্কা ঠেকানো সম্ভব। কারণ, আগামীদিনে গাঙ্গেয় উপকূল এলাকা আরও বেশি ঘূর্ণিঝড় প্রবণ হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।
মহিষাদল ও সুতাহাটা পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদি ও হুগলি নদীর ভাঙন ঠেকাতে ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে ভেটিভার ঘাস ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগ, গাছ লাগানো, নজরদারির ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের ত্রুটি থাকায় প্রায় ৬-৭ লক্ষ টাকা জলে গিয়েছে। সুতাহাটার বিডিও আসিফ আনসারি জানান, কুকড়াহাটির এড়িয়াখালিতে সবচেয়ে ভাঙনপ্রবণ এলাকায় ৯০০ মিটার কংক্রিটের নদী বাঁধের কাজ চলছে। আরও দেড় কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেচ দপ্তরকে। কারণ, ওই এলাকায় ইটভাটা থাকায় চরের মাটি কেটে নেওয়ার জন্য নদী বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এবার সেই বাঁধ উপচেই জল ঢুকে তিনটি গ্রাম সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে যায়। সেচ দপ্তর জানিয়েছে, ইটভাটাগুলি রায়তি জমিতে থাকায় ওখানে কোনও এক্স জমিদারি বাঁধ নেই। সেচ বাঁধ অনেক দূরে রয়েছে। তাই নদীর পাড়কে কীভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে।