পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। পেশাদারি কাজকর্মে হঠাৎ বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মূলত পশ্চিমবঙ্গ বাসফোর এবং হরিজন ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এদিন সার্কিট হাউস থেকে মিছিল করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে আসেন। ওই মিছিলে সামিল হন চেয়ারম্যানও। মূলত মিছিল থেকে শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বার্তা দেওয়া হয়। এবিষয়ে নর্থ বেঙ্গল হরিজন অ্যান্ড বাসফোর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি বিজয় বাসফোর বলেন, শহর, হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের। কিছুদিন আগেই নার্সিং হস্টেলে দু’জন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে। তারা জঙ্গল দিয়েই পালিয়ে গিয়েছিল। বর্ষায় চারিদিকে জঙ্গলে ভরে উঠবে। তাই জঙ্গল পরিষ্কার রাখলে দুষ্কৃতীরা আর সুযোগ পাবে না।
জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগও সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক জায়গাতেই গাছপালা কেটে আলো বসানো হয়েছে। তবে আজ যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে খুবই ভালো। হাসপাতাল জঞ্জালমুক্ত থাকলে রোগব্যাধিও কম হবে ।
হাসপাতাল চত্বরে রয়েছে পুরনো তিনতলা ভবন, বহির্বিভাগ, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, নানা আবাসন, সুপার অফিস, সহ নানা ভবন। এই ভবনগুলির অনেক জায়গায় জঞ্জাল ভরে গিয়েছে। ফলে জঙ্গল থাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে। তারা লুকিয়ে নেশা করে নার্সিং হস্টেলেও ঢুকে পড়ছে। এই জঙ্গল না থাকলে পুলিস পেট্রোলিংয়ের সুবিধা হবে।
পুর চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, বালুরঘাট শহরের এই সংগঠন খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। আমরাও সামিল হয়েছি তাঁদের সঙ্গে। হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং জঙ্গলমুক্ত থাকলে খুব ভালো হবে। পাশাপাশি পুরসভাও মাসে একদিন করে জঙ্গল সাফাই অভিযান করে।