পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। পেশাদারি কাজকর্মে হঠাৎ বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির টিউবওয়েলের পাইপ খারাপ হওয়ায় জল উঠছিল না কয়েকদিন। সেই পাইপ মেরামত করতে এদিন টিউবওয়েলের পাশে গর্ত খুঁড়ছিলেন সরেন। গর্তের মাটি বালতি দিয়ে উপরে তুলছিলেন তাঁর স্ত্রী। মাত্র দু-আড়াই ফুট চওড়া এবং ১৫ ফুট লম্বা গর্ত খোঁড়ার পর আচমকাই মাটি ধসে পড়ে। সেই সরু গর্তেই মাটি চাপা পড়ে আটকে যান সরেন।
তাঁর স্ত্রীর চিত্কারে স্থানীয়রা তড়িঘড়ি সরেনের বাড়ি আসেন। সেই গর্ত থেকে মাটি সরিয়ে সরেনকে বের করার চেষ্টা করা হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিস ও দমকলকে। খবর পেয়ে ইসলামপুর থেকে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। সরেনকে উদ্ধার করে দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা সরেনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চোপড়া থানার পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর গর্ত থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।
গর্তে মাটি ধসে মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল এলাকায়। শোকস্তব্ধ পরিবার। স্বামীকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কল্পনা রায়। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে টিউবওয়েলে জল উঠছিল না। এদিন দুজনে মিলে টিউবওয়েল ঠিক করার জন্য গর্ত খুঁড়ছিলাম। এভাবে স্বামীকে হারাতে হবে, ভাবিনি।
গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নরেশচন্দ্র সিংহ জানান, কয়েকদিন ধরেই জলের সমস্যায় ভুগছিল পরিবারটি। তাদের মনে হয়েছিল পাইপের কোনও সমস্যা রয়েছে। এদিন গর্ত খুঁড়ে পাইপ মেরামতের সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েই এই বিপত্তি। মৃতের পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত।