প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
গঙ্গারামপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি হয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত হামজাপুর যাওয়ার মূল রাস্তাটি রয়েছে। পুর এলাকা থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে সীমান্ত। সীমান্তবর্তী এই শহরকে কাজে লাগিয়ে চোরাচালানকারীরা মাথাচাড়াও দিয়েছে। ইয়াবা ট্যাবলেট, কাফ সিরাপের মতো নেশার সামগ্রী পাচার করার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে, এলাকার সৌন্দর্যায়নের কাজ করার সময় শহরের সিসিটিভিগুলি খুলে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু পরে তা আর লাগানো হয়নি। গঙ্গারামপুর পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে, পুজোর আগেই শহরের চৌপথীতে থাকা সিসিটিভি চালু করে দেওয়া হবে।
গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দুকুমার কুণ্ডু বলেন, গঙ্গারামপুর শহরের চৌপথী এলাকায় থাকা সিসিটিভি পুরসভার কাজের সময় খোলা হয়েছিল। শহরের আরও দুই জায়গার সিসিটিভিও একইসঙ্গে বিকল হয়ে গিয়েছে। সিসিটিভিগুলির মাধ্যমে গঙ্গারামপুর থানা থেকে নজরদারি করা হতো। সেগুলি কাজ না করায় আমাদের সমস্যা তো হচ্ছেই। কোনও দুষ্কর্ম ঘটলেও তার হদিশ পেতে সমস্যা হচ্ছে। থানার পক্ষ থেকে পুরসভার কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রশাসক অমলেন্দু সরকার বলেন, চৌপথী এলাকা সাজানোর সময় বছর তিনেক আগে সিসিটিভিগুলো খুলে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে গঙ্গারামপুর থানা আমাদের ট্রাফিক পয়েন্ট তৈরি করার জন্য বলেছে। জাতীয় সড়কের পাশে আমরা সেই ট্রাফিক পয়েন্ট তৈরি করে দেব। তখন সিসিটিভিও আবার লাগানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর চৌপথীতে চার জায়গায় সিসিটিভি ছিল। এখন কোনওটিই কাজ করছে না। এছাড়া গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও বাস স্ট্যান্ড এলাকাতেও সিসিটিভি লাগানো ছিল। সেগুলিও বিকল হয়ে পড়ে আছে। আমলেন্দুবাবু বলেন, আমরা অনুভব করেছি শহরের নিরাপত্তার জন্য এই কয়েকটি সিসিটিভি যথেষ্ট নয়। তাই আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে পুরোনগুলি সচল করার পাশাপাশি আরও সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু করে দেব। পুজোর আগেই কাজ শুরু করে দেব। সিসিটিভি থাকলে শহরের বুকে অপরাধমূলক কাজকর্ম কমবে। পুলিস দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারবে।
গঙ্গারামপুর শহরের প্রবীণ নাগরিক রাণা সাহা বলেন, যেকোনও বড় ও জনবহুল শহরে নাগরিক নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি লাগানো থাকে। আর আমাদের শহরের সিসিটিভি পুরসভা খুলে নিলেও এখনও সেগুলি চালু করতে পারেনি। সেই সুযোগে শহরের বুকে চুরি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের ঘটনার পর গঙ্গারামপুর শহরের নিরাপত্তার এই হাল দেখে আমরা, শহরবাসীরা আতঙ্কে রয়েছি। প্রশাসন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক।