প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
সম্প্রতি মালদহে পরপর বেশ কয়েকজন পাচারকারী গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের জেরা করে পাওয়া তথ্যও পুলিস খতিয়ে দেখছে। যদিও জেলা পুলিসের আধিকারিকরা মুর্শিদাবাদের সঙ্গে মালদহকে এক আসনে রাখতে রাজি নন। এব্যাপারে মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, আমরা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছি। পাচারের সঙ্গে যুক্ত অনেককে গত একবছরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে ঘুরে বেড়ানো কয়েকজন কুখ্যাত পাচারকারীকেও পাকড়াও করা হয়েছে। এ জেলা থেকে কেউ যাতে দেশবিরোধী কাজের জন্য টাকা জোগাড় করতে না পারে, তার জন্য সর্বত্র নজর রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, একসময় মালদহের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাচারকারীদের কাছে স্বর্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। এখনও এ জেলার কালিয়াচক এবং বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার সীমান্ত হয়ে বিপুল পরিমাণে জালনোট, মাদক ও গোরু পাচার হয় বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে জালনোট। তার পরিবর্তে এপার থেকে মাদক পাচার হয় ওপারে। ওই কাজে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। তারা পাচারও নিয়ন্ত্রণ করে। পাচারের কাঁচা টাকা জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
এদিকে, মুর্শিদাবাদকাণ্ডের তদন্তে নেমে এনআইএ বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের মাথারা বেকারদের টাকার লোভ দেখিয়ে নিজেদের দিকে টানার ছক কষছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। মালদহ জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, জেলায় থানা, পুলিস ফাঁড়ি পোড়ানোর পিছনে অনেক সময় পাচারকারীদের মদত থাকে। জঙ্গিদের কার্যকলাপও একই ধরনের। তাই দু’পক্ষের মধ্যে আঁতাত থাকা অসম্ভব নয়। নানা কারণে সরকার বা নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দুর্বল হয়ে পড়লে পাচারে সুবিধা হয়। অনেক সময় জঙ্গি সংগঠনগুলি পাচারকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও আদায় করে। নিজেদের কারবার ঠিক রাখতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও মাফিয়ারা টাকা দেয়। ওই ধরনের কোনও লেনদের জেলায় চলছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি বলে জানান পুলিস সুপার।