উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
কাস্টমসের আইনজীবী রতন বণিক বলেন, এদিন ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। কাস্টমসের নকশালবাড়ি ডিভিশনের সুপারিনটেনডেন্ট শ্যামল মজুমদার বলেন, সোর্স মারফৎ খবর পেয়ে অভিযুক্ত মা ও ছেলেকে ধরা হয়েছিল। সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শিলচরগামী ওই ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় তল্লাশি চালিয়ে কাস্টমস অভিযুক্তদের ধরেছিল। ধৃতদের নাম রুহুল পুই ও লালথাং পে। রুহুলের মা লালথাং। রুহুলের কাছে ডলার ভর্তি ব্যাগ ছিল। আইজলে তাদের বাড়ি। অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কাস্টমসের নকশালবাড়ি ডিভিশনের তিন সুপানিটেনডেন্ট শ্যামল মজুমদার, সুমিতা পুরকায়স্থ ও দেবেন সিং এবং তিন ইন্সপেক্টর মহম্মদ নইম, জিতেশ গুপ্তা ও জয়দীপ সূত্রধর।
শ্যামলবাবু বলেন, সোর্সের মাধ্যমে কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার পিকে মরিয়া ওই তথ্য পান। তাঁর নির্দেশ মতো অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ইউএস ডলার বাজেয়াপ্ত হয়। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৯৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৫০০ টাকার সমতুল্য। এর বাইরে ধৃতদের থেকে ভারতীয় মুদ্রায় নগদ ২৬ হাজার টাকা মেলে। সব মিলিয়ে ভারতীয় মুদ্রায় বাজেয়াপ্ত অর্থের পরিমাণ ৯৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা। প্লাস্টিক ও খবরের কাগজে ডলারগুলি প্যাকেট করা ছিল। কালো রঙের ব্যাগের গোপন পকেটে তা রাখা হয়। তারউপর ছিল ওই দু’জনের পোশাক। ব্যাগটি রুহুলের কাছে ছিল। ওর কাছে তার সচিত্র পরিচয়পত্রও পাওয়া যায়। তবে ওর মায়ের কাছ থেকে কোনও পরিচয়পত্র মেলেনি। ডলার সমেত মা-ছেলের ধরা পড়ায় গোয়েন্দাদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে যায়।
গোয়েন্দাদের বক্তব্য, অরুণাচলপ্রদেশ, মিজোরাম, মণিপুর প্রভৃতি রাজ্য মায়ানমার সীমান্তবর্তী। মায়ানমার থেকে সোনা অবৈধভাবে ওই রাজ্যগুলি দিয়ে এদেশে প্রবেশ করছে। ওই সোনা শিলিগুড়ি, কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সম্ভবত কলকাতায় সোনার কনসাইনমেন্ট হস্তান্তর করেই ধৃত মা ও ছেলে ওই ডলার সংগ্রহ করেছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে হচ্ছে, ধৃত মা ও ছেলে সোনা পাচারচক্রের ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছে। প্রতি কনসাইনমেন্ট হস্তান্তরে তারা কমিশন বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা পায়। কাস্টমসের এক অফিসার বলেন, ধৃতরা ডলার কোথা থেকে সংগ্রহ করেছে, তাদের সঙ্গে কাদের যোগাযোগ আছে, তারা আগে কোনও দিন এই ধরনের কাজ করেছে কি না এই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে।