উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার বাসিন্দাদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ গঠনে উদ্যোগী হন। গতবছর থেকে এখানে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পঠনপাঠন চালু হয়েছে। জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামোয় আপাতত কলেজের পঠনপাঠন শুরু হলেও কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নানা পরিকাঠামো তৈরির কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলেছে। কলেজ চালু হতেই প্রায় ২০০ চিকিৎসক ১০০ নার্স নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। জেলা হাসপাতালের তুলনায় চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেলেও পরিষেবার মান বদলায়নি। অভিযোগ, হাসপাতালে নিযুক্ত চিকিৎসকদের একাংশের দেখা পাওয়া যায় না। তারা প্রাইভেট প্রাকটিস নার্সিংহোম নিয়ে ডুবে থাকছেন। নার্সদের একাংশ চেয়ার ছেড়ে ওঠেন না। আয়া মাসিদের দিয়ে তাদের কাজকর্ম করানো হয়। এজন্য রোগীর পরিবারের কাছে জুলুম করে টাকা আদায় চলে। অনেক সময় এক রোগীর ওষুধ অন্য রোগীকে খাইয়ে দেওয়ার ঘটনাও আয়ারা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় থাকলেও তাদেরকে রোগী নিয়ে ওয়ার্ডে যেতে দেওয়া হয় না। নেশাখোররা ট্রলি টেনে রোগী ওয়ার্ডে পৌঁছে মোটা টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ। দালালরাজ সর্বত্র ফাঁদ পেতেছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিটি ক্ষেত্রে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে হাসপাতালে আসা রোগীদের নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। দালালরাই এখানে উপকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। আয়া মাসিরা হাসপাতালে রোগীদের পরিবারের লোক থাকলেও প্রতিদিন ২০০ টাকা ন্যূনতম আদায় করাটা নিয়ম করে ফেলেছে। অবৈধ আয়া মাসিদের ওয়ার্ড থেকে সরে যেতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারি করলেও তোয়াক্কা করেনি তারা। পুরসভার এক অস্থায়ী কর্মী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আয়াদের সংগঠিত করে সেখানে দাদাগিরি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, আয়া মাসি থেকে ট্রলিম্যান, দালাল সকলের কাছে কাটমানি আদায় করে কিছু প্রভাবশালী মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করছে, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে। দালালরাজ নিয়ে প্রচণ্ড বিরক্ত রাজ্যের শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানি বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসককে সম্প্রতি হস্তক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কদিনে দালালরাজ দূর করা তো পরের কথা, তাদের টিকিটিও ছুঁতে পারেনি প্রশাসন। ফলে এমসিআইয়ের পরিদর্শনের আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিস অফিসার বলেন, শীঘ্রই দালালদের ধরতে হাসপাতালে অভিযান চালানো হবে।