উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
রেশনে বরাদ্দ কম দেওয়া এবং ডিলারের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ঘিরে এদিন সকাল থেকেই তীব্র গ্রাহক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে রেশন ডিলার ভয়ে দোকান ছেড়ে পালিয়ে যান। সে সময় উত্তেজিত জনতা দোকানের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। রেশন গ্রাহকদের অভিযোগ, বরাদ্দ অনুযায়ী রেশন দেওয়া হয় না। অথচ এনিয়ে প্রতিবাদ করলেই গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ডিলার। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই ওই ডিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমছিল। এদিন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হলে মালদহ থানার পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। খাদ্যদপ্তরের কর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
এলাকার রেশন গ্রাহকরা বলেন, গত কয়েক মাস ধরে সামগ্রী নিয়মিত মিলছে না। দোকানে আসলে ডিলার দুর্ব্যবহার করেন। গত এক সপ্তাহে ধরে তো আমাদের বরাদ্দ অনেক কমে গিয়েছে। আমরা এনিয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টে হুমকি দেওয়া হয়। তাই এদিন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আমরা আন্দোলন করেছি।
জেলার খাদ্য নিয়ামক পার্থ সাহা বলেন, রেশন গ্রাহকদের অসন্তোষের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
মালদহ সদর মহকুমা খাদ্য নিয়ামক প্রণব দে বলেন, পুরাতন মালদহের একটি রেশন দোকান নিয়ে আগে থেকেই গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল। তারই ভিত্তিতে এদিন উত্তেজনা ছড়ায়। আমরা খবর পেয়েই দোকানে টিম পাঠিয়েছি। গ্রাহকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত রেশন পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছে।
মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, রেশন দোকান থেকে নিয়মিত সামগ্রী পাচ্ছেন না বলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়েছিল। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। চেয়ার টেবিল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।
রেশন ডিলার মান্তুরানি সাহার পক্ষে তাঁর ছেলে কালু সাহা বলেন, রেশন সামগ্রী নিয়মিতই দেওয়া হয়। স্থানীয় কিছু দালাল বেশকিছু দিন ধরে আমার কাছে তোলা দাবি করে আসছিল। তা না দেওয়াই উস্কানি দিয়ে জমায়েত করে হামলা চালিয়েছে তারা। এদিন সব কথা পুলিসকে খুলে বলা হয়েছে ।
ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের পাচপাড়া গ্রামে রেশন পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহক অসন্তোষ রয়েছে। গত বেশ কিছুদিন ধরে চাল, আটার বরাদ্দ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এদিন সকালে প্রায় ২০০ জন গ্রামবাসী দোকানের সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভে শামিল হন। তাঁরা অনিয়মের বিরুদ্ধে সরব হন। সকালে ডিলার রেশন দোকান খুলতেই দলে দলে প্রচুর গ্রাহক দোকানে ভিড় করেন। তাঁরা দোকান ঘিরে ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রেশন ডিলারের ছেলে সহ দোকানের কর্মীরা কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। তখন জনতার রোষ আছড়ে পড়ে রেশন দোকানে। দোকানের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে স্থানীয় পুকুরে ফেলে দেন উত্তেজিত গ্রাহকরা।