উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ ও সমস্যার কথা শুনতে প্রশাসনের আধিকারিকদের গ্রামে গিয়ে রাত কাটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের সেই অভিযোগ শুনতেই জেলা প্রশাসনের ছয়জন আধিকারিক বক্সা পাহাড়ের আদমা গ্রামে সোমবার রাত কাটালেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০০ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কালচিনি ব্লকের বক্সা পাহাড়ের এই গ্রামটি।
জেলাশাসক জানান, মানুষের সমস্যা ও অভাব অভিযোগ শুনতে এবার আধিকারিকদেরও গ্রামে গিয়ে রাত কাটাতে হবে। বক্সা পাহাড়ের আদমা গ্রাম দিয়েই তার শুরু হল।
কালচিনির রাজাভাতখাওয়া পঞ্চায়েতের সমতল এলাকা সান্তালাবাড়ি থেকে হেঁটে বক্সা পাহাড়ের এই আদমা গ্রামে যেতে ৭ ঘণ্টা সময় লাগে। প্রতিটি নির্বাচনে ভোট কর্মীদেরও ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে হেঁটেই ভারত-ভূটান আন্তর্জাতিক সীমান্তে থাকা ওই গ্রামে পৌঁছতে হয়।
জেলা প্রশাসনের ছয়জনের ওই দলটিতে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) চিরঞ্জীব ঘোষ, জেলা পরিকল্পনা আধিকারিক সুমন বাগদাদ, কালচিনির বিডিও ভূষণ শেরপা ও অন্যান্য আধিকারিকরা। প্রশাসন জানিয়েছে, পাহাড়ি গ্রাম আদমাতে মাত্র ৬০টি পরিবার থাকেন। সবাই ডুকপা জনজাতির মানুষ। তাঁরা বাংলা, হিন্দি বা ইংরেজি কোনও ভাষাই জানেন না। তাই বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য জেলা প্রশাসনকে দোভাষীর সাহায্য নিতে হয়েছে।
সোমবার ওই গ্রামে রাত কাটিয়ে মঙ্গলবার ভোরে পর্যটন কেন্দ্র রায়মাটাং হয়ে সমতলে নামেন প্রশাসনের দলটি। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, আদমা যাওয়ার রাস্তার দু’জায়গায় ধস নেমেছে। খাঁড়া পাহাড়। তবু যেতে আসতে তাঁদের কোনও বিপদ হয়নি।
কালচিনির বিডিও ভূষণ শেরপা বলেন, রাতে কথা বলার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় একটি কমিউনিটি হল তৈরির দাবি জানিয়েছেন। বাসিন্দারা পরিস্রুত পানীয় জল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে তাঁদের ক্ষোভের কথাও জানিয়েছেন আমাদের। পাহাড়ি গ্রামটির বাসিন্দাদের দাবি ও অভিযোগের ভিডিও করে জেলা প্রশাসনের হাতে দেওয়া হবে। অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের।
আদমার এক বয়স্ক বাসিন্দা ছাঙ্গে ডুকপা বলেন, একসঙ্গে প্রশাসনের ছয়জন আধিকারিক আদমায় রাত কাটিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন, এটা কোনওদিন ভাবতে পারিনি আমরা। আমরা সরকারি আধিকারিকদের কাছে আমাদের নানান সমস্যার কথা জানিয়েছি।
প্রসঙ্গত, বক্সা পাহাড়ে আছে ১৩টি গ্রাম। দু’বছর আগে ৩০০০ ফুট উচ্চতায় থাকা বক্সায় বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রায় দিনই সেখানে বিদ্যুৎ থাকে না বলে এলাকার বাসিন্দারা সোমবার রাতে প্রশাসনের দলটির কাছে অভিযোগ করেন।