উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
গঙ্গারামপুরের মিষ্টি ব্যবসায়ী বলরাম কুণ্ডু বলেন, গঙ্গারামপুর শহরে মিষ্টি তৈরির ১০টি কারখানা রয়েছে। সকলেই বোল্লা মেলার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে। কালী পুজোর পর থেকেই পুজোর জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এখন জোরকদমে বাতাসা, নকুলদানা, কদমা, ছাঁচ দিয়ে তৈরি চিনির হাতি, ঘোড়া, গাছ, পাখি। বড় বড় কড়াইয়ে বস্তা বস্তা চিনি জাল করে এসব তৈরি করা হয়। প্রায় ৪০ কুইন্টাল ভোগ তৈরি করে বোল্লা মেলায় যাব। বাকিটা চাহিদা অনুযায়ী মেলায় বানানো হবে। আমাদের জেলার মিষ্টি ব্যাবসায়ী ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে দোকানিরা আসেন। এবারে পাঁচ কেজি ওজনের বড় কদমা তৈরি করা হয়েছে। অনেকে কদমা মানত থাকে। তাঁরাই বড়ো কদমা কেনেন। আমাদের আশা এবারে শুরুতে চিনির সব ভোগ মিশিয়ে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে।
বোল্লা পুজো কমিটির সদস্য দীপক কর্মকার বলেন, বোল্লা মায়ের প্রধান ভোগ চিনির বাতাস ও কদমা। সকল ভক্ত কদমা এবং বাতাসা দিয়ে পুজো দিয়ে থাকেন। পুজোর চার দিন কয়েকশো টন চিনির বিভিন্ন জিনিস বিক্রি হয়। বোল্লা চৌপথী থেকে পুজোর মন্দিরের দু ধারে একশোর উপরে ভোগের দোকান বসে। মায়ের পুজোয় এতো ভক্ত আসে কেনাকাটার কোনও হিসেব থাকে না। প্রচুর বাতাসা ও কদমা ভোগ মন্দিরে পড়ে। আমরা সেগুলি প্রসাদ হিসেবে জেলাজুড়ে ভক্রদের মধ্যে বিলি করি। বাকি বাতাসা পুজোর পর মিষ্টির দোকানদারদের বিক্রি করে দেওয়া হয়। তারা পরে জিলাপি তৈরিতে সেগুলি কাজে লাগায়। অন্যবারের মতো এবারেও শতাধিক ভোগের দোকান বসতে শুরু করে দিয়েছে। তারা চিনির বিভিন্ন ভোগ তৈরি করছে। আমাদের বোল্লা মায়ের হাতে প্রায় ৫০০ গ্রাম ওজনের কদমা থাকে। বালুরঘাটের খাসপুরের এক ভোগ ব্যবসায়ী মাকে ওই কদমাটি দেন।