শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
পুতিন বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি এবং জি জিনপিং, দু’জনে যথেষ্ট দায়িত্বশীল রাষ্ট্রনেতা বলেই আমি মনে করি। চীন ও ভারতের মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তাঁরা সম্পূর্ণ সক্ষম। আলোচনা করে তাঁরা এই সমস্যা মিটিয়ে নিতে পারবেন বলেই পুতিন আশাবাদী। তিনি বলেছেন, ওই দুই শক্তিশালী রাষ্ট্রের পারস্পরিক সমস্যা সমাধানে তৃতীয় কোনও রাষ্ট্রের মধ্যস্থতার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। সেটা উচিতও নয়। পুতিনের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
কোনও তৃতীয় পক্ষ কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করুক যেমন দিল্লি চায় না, তেমনই পড়শি দেশের সঙ্গে দূরত্ব মেটাতেও অন্য কোনও আঞ্চলিক শক্তির সাহায্য চায় না। পুতিন বলেছেন, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আজ নতুন নয়, বহু পরীক্ষায় তা স্বীকৃত। এবং সামরিক সহযোগিতাতেও রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বস্তুত বেশ কয়েকবছর ধরে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে মিত্রতা গড়ে ওঠায়, এশিয়া তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও কূটনৈতিক সমীকরণে বদল আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একদিকে রাশিয়া, চীন, ইরানের মধ্যে একটি শক্তিশালী অক্ষ তৈরির সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। অন্যদিকে চীনকে সমঝে দিতে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতকে নিয়ে একটি অক্ষ চতুষ্টয় নির্মাণ করা হয়েছে। যার নাম কোয়াড। পুতিন এই কোয়াডের সরাসরি সমালোচনা করেছেন। পরোক্ষে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোনও একটি গোষ্ঠী যদি একজন শত্রুকে চিহ্নিত করার জন্যই গঠিত হয়, সেটা নীতিগতভাবে সঠিক নয়। অর্থাৎ চীনকে নিশানা করেই যে কোয়াড তৈরি হয়েছে সেটা ইঙ্গিত করে পুতিন বুঝিয়ে দিলেন, এই কোয়াডে ভারতের অন্তর্ভুক্তি রাশিয়ার পছন্দ নয়। এদিকে, আগামী ১৬ জুন জেনিভায় সাম্প্রতিককালের সবথেকে হাই প্রোফাইল বৈঠক হতে চলেছে জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে। গোটা পৃথিবীর আগ্রহ সেদিকেই।