রূপাঞ্জনা দত্ত, লন্ডন: পরম্পরা মেনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। চলতি মাসের ১৩ তারিখ তাঁদের সাক্ষাতের কথা। এছাড়াও তিনি মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের সম্মানে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। ১১ জুন থেকে কর্নওয়ালে দু’দিনের জন্য বসছে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক। তাই রানির সঙ্গে সাক্ষাতের অন্তত দু’দিন আগে ব্রিটেনে এসে পৌঁছবেন বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটাই বাইডেনের প্রথম বিদেশ সফর। ক্ষমতায় আসার পর যে কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম বিদেশ সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর সফরের মাধ্যমে বিদেশনীতিতে ওই দেশের অগ্রাধিকার বোঝা যায়। ব্রিটেনও বাইডেনের সঙ্গে রানির সাক্ষাৎকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ইউরো কাপে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচে উপস্থিত থাকতে পারবেন না রানি। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বাকিংহ্যাম প্যালেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘১৩ জুন রবিবার উইন্ডসোর ক্যাসেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রানি।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রানির এবারের সাক্ষাৎ নানা দিক দিয়েই অভিনব হতে চলেছে। ১৯৫২ সালে সিংহাসন আরোহণের পর থেকে সকল মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেছেন রানি। কেবল ব্যতিক্রম ঘটেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের ক্ষেত্রে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ব্রিটেনে আসতে পারেননি বলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি রানির। সেদিক দিয়ে বাইডেন হবেন রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া এপ্রিলে স্বামী ফিলিপের মৃত্যুর পর এই প্রথম একাকী কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সরকারি অনুষ্ঠানে মিলিত হবেন রানি।
জিল বাইডেনের সঙ্গে রানির এই বৈঠকের দিকে নজর থাকবে অন্য একটি কারণেও। রাজ পরিবারের থেকে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা যুবরাজ হ্যারির সঙ্গে বিশেষ সখ্য রয়েছে মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিলের। জানা যাচ্ছে, ২০১২ সালে অঙ্গপ্রতঙ্গ হারানো মার্কিন এবং ব্রিটিশ সৈন্যদের এক অনুষ্ঠানে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ। ২০১৫ সালে জিলের সৎ ছেলে বিউয়ের ব্রেন ক্যানসারে মৃত্যুর পর তাঁদের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। অঙ্গপ্রতঙ্গ হারানো সৈন্যদের নানা খেলাধূলার অনুষ্ঠানে নিয়মিত দেখা যায় জিলকে। ২০১৬ সালে মজা করে জো বাইডেন একবার বলেছিলেন, ‘যুবরাজ হ্যারির সঙ্গে জিল এত সময় কাটায়!’