শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনে সম্প্রতি রেলের কাছে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি থেকে বিগত পাঁচ বছরের আয়ের পরিমাণ জানতে চেয়েছিলেন জনৈক চন্দ্রশেখর গৌর। আর সেখানেই রেলমন্ত্রক যে জবাব দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৬-১৭ আর্থিক বছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ পর্যন্ত প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি করে রেলের আয় প্রায় নিয়মিতভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে। আরটিআই জবাব অনুসারে, ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে এই খাতে রেলের আয়ের পরিমাণ ১৩৪ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে সারা দেশে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি করে রেলের আয় হয়েছে ১৬০ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা। যা উল্লিখিত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তবে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট আরটিআইয়ের জবাবে রেল জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি করে তাদের আয় হয়েছে মাত্র ১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, আগের অর্থবর্ষের তুলনায় এক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এর কোনও নির্দিষ্ট কারণ অবশ্য জানানো হয়নি। আর এই প্রেক্ষিতেই ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসছে বিভিন্ন জোনের একাধিক স্টেশনে বর্ধিত দামে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রির প্রসঙ্গ। অভিযোগ, কোথাও তিন গুণ, কোথাও পাঁচ গুণ বেশি দামে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। যদিও স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করাই বেশি দামে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রির অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট জোনগুলি। তবে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক কালে এই দুই জোনের কোনও স্টেশনেই প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম বৃদ্ধি করা হয়নি।’