শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
কেন্দ্রের কোভিড সংক্রান্ত হাইপাওয়ারড কমিটির চেয়ারম্যান তথা নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ডাঃ বিনোদকুমার পল বলেন, এবার ধীরে ধীরে লকডাউনের কড়াকড়ি থেকে বেরিয়ে আসা যেতেই পারে। তবে অবশ্যই কোভিড বিধি বজায় রেখে। এইমসের এই বিশিষ্ট চিকিৎসক আরও বলেন বলেন, অনেকে একজোট হয়ে হইহুল্লোড়ের পার্টি করার সময় এখনও আসেনি ঠিকই। কারণ ভাইরাস এখনও আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে সকলের সচেতনতায় পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে। পজিটিভিটির হার কমে গিয়েছে। দৈনিক সংক্রমণের রেখাচিত্রও নিম্নমুখী। তাই টিকাকরণে গতি বাড়ানোর পাশাপাশি মাস্ক পরা, হাত ধোয়া বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো সহজ উপায় বজায় রাখলেই সমস্যা নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মোতাবেক কোনও এলাকায় একটানা সাতদিন সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কম থাকলে সেই স্থান বিপন্মুক্ত। সার্বিকভাবে গোটা দেশের সাপ্তাহিক পজিটিভিটির হার ৪.৭৪। পাশাপাশি রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৪.২৫%। অথচ ব্যাপক হারে বাড়ছে টেস্টের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ লক্ষ ৩১২ জনের কোভিড টেস্ট হয়েছে বলেই জানিয়েছে আইসিএমআর। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ৩৭ কোটি ৮১ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৭৪ জন নাগরিকের করোনার পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের হার ৩.৪৯%।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ মে যেখানে দেশের ৫৩১টি জেলায় প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছিলেন, এখন তা কমে হয়েছে মাত্র ১৯৬টি জেলা। পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় এখনও দৈনিক সংক্রমণ শতাধিক হলেও, রাজ্যের বাকি অংশে তা সামান্যই।
তবে কোন রাজ্যে প্রাইভেট হাসপাতালে কত পরিমাণ টিকা লাগতে পারে, তার একটি খসড়া হিসেব হাতে পেতে চাইছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কারণ, কয়েকটি রাজ্যের বড় প্রাইভেট হাসপাতাল সরাসরি কোম্পানির থেকে ডোজ কিনে রেখে দিচ্ছে। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসমের মতো কয়েকটি রাজ্যের প্রাইভেট হাসপাতাল পর্যাপ্ত টিকা পাচ্ছে না বলেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট। তাই কার কত ডোজ লাগতে পারে, তার একটি তালিকা তৈরি করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।