শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত তিনটি ওষুধের দামের উপর ধার্য জিএসটি কমানো হয়েছে। একঝাঁক পণ্য ও পরিষেবার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে দু’টি বিশেষ পরিষেবার জিএসটি হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাউন্সিল—শবদাহের জন্য বৈদ্যুতিন চুল্লি এবং অ্যাম্বুলেন্স। এই দু’টির উপর যথাক্রমে ১৮ ও ২৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য ছিল। তা কমিয়ে যথাক্রমে ৫ ও ১২ শতাংশে আনা হয়েছে। অক্সিজেন, পিপিই কিট, তাপমাত্রা মাপক যন্ত্র, পালস অক্সিমিটার, হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা ডিভাইস ইত্যাদি একঝাঁক উপকরণ ও পণ্যকেও তালিকাভুক্ত করেছে কাউন্সিল। কোনও ক্ষেত্রে জিএসটি ১৮ শতাংশ, আবার কিছু ক্ষেত্রে ১২ শতাংশকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। জিএসটি শূন্য করা হয়েছে দু’টি ওষুধকে। তা হল—ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসার ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন বি এবং কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত তোসিলিজুমাব। রেমডিসিভির ওষুধের জিএসটি ৫ শতাংশে নামানো হয়েছে।
এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যখন শিখরে, তখন এই ওষুধ ও পরিষেবাগুলির চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া। শুরু হয়েছিল মাত্রাতিরিক্ত কালোবাজারি। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার জেরেই ভ্যাকসিন সহ কোভিড চিকিৎসাকে করমুক্ত করার দাবি তুলেছিল রাজ্যগুলি। কিন্তু এখন করোনা মোকাবিলায় সবথেকে বেশি প্রয়োজন গণটিকাকরণ যথাসম্ভব বৃদ্ধি করা। সেখানে কেন ভ্যাকসিনে জিএসটি মকুব করা হল না? উত্তরে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু এখন কেন্দ্র ভ্যাকসিন ক্রয় করছে এবং রাজ্যকে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে, তাই দেশবাসী টিকা পাবেন বিনামূল্যে। সুতরাং, ভ্যাকসিনের জিএসটি মকুব হল কি হল না, এটা সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রে আর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ নয়।’ যদিও ১৮ ঊর্ধ্ব সবাইকে সরকারি স্তরে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে ২১ জুন থেকে। বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে টিকা নিতে গেলে তো গ্রহীতাকে জিএসটি দিতেই হবে! এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন থেকে জিএসটি বাবদ আয়ের ৭০ শতাংশই পাবে রাজ্য সরকারগুলি।’