দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি দেশবাসীর যে দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলই তার প্রমাণ। সেই বিশ্বাস ও আস্থার মর্যাদা দিতেই নির্বাচনী ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে বিজেপি তথা মোদি সরকার। ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর বৃহত্তর ব্যাপ্তি অনুসরণ করে দ্বিতীয় দফার মোদি সরকার ‘সবার বিশ্বাস’ অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
বিজেপির অনেক প্রতিশ্রুতি ইতিমধ্যেই পূরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বিলোপ এবং তিন তালাক প্রথা বাতিলের জন্য আইন প্রণয়ন। মোদি সরকারের এই উদ্যোগ ও সিদ্ধান্তকে সকলেই স্বাগত জানিয়েছেন। এছাড়া, দ্বিতীয় দফার মোদি সরকারের প্রথম ছ’মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই জমিতে রামমন্দির গড়ে ওঠার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে শীর্ষ আদালতের রায়ে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে ভারতীয় গণতন্ত্রের ক্ষমতা উল্লেখ করেছেন। যার প্রমাণ মেলে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকার মধ্যে দিয়ে। অবশ্য, এই মামলার রায় বিলম্বিত করার জন্য কোনও কোনও বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি ও তার শাখা সংগঠনগুলি এক্ষেত্রে গঠনমূলক উদ্যোগ নিয়েছিল। বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্যোগে সংসদে উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়টি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আর এর মাধ্যমেই দ্বিতীয় মোদি সরকারের আমলে ‘এক দেশ, এক পতাকা, এক সংবিধান’ বাস্তবায়িত হয়েছে।
পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের সমতুল অর্থনীতিতে পৌঁছনোর লক্ষ্যে ভারত সঠিক দিশায় এগচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কৌশলগত বিলগ্নিকরণ, কর কাঠামো, শ্রম আইন ও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে। কর্পোরেট সংস্থাগুলির করের হার হ্রাস করে ২২% এবং নতুন দেশীয় উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির জন্য তা ১৮% করা হয়েছে। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভারত আজ বিশ্বজুড়ে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। সহজে ব্যবসা করা, উদ্ভাবনী সূচক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের স্থান ঊর্ধ্বমুখী হওয়াতেই তা প্রমাণিত। সহজে ব্যবসা করার তালিকায় মাত্র তিন বছরে ভারত ৬৭ ধাপ উঠে এসেছে। ২০১১ সালের পর থেকে এই উত্থান সবথেকে বেশি। নতুন উদ্যোগের ব্যবস্থাপনায় ভারত আজ তৃতীয় বৃহত্তম। ডিজিটাল প্রতিযোগিতামূলক সূচকে দেশ চারধাপ এগিয়ে ৪৪তম স্থানে উঠে এসেছে। ভ্রমণ এবং পর্যটন সূচকে ভারত ২০১৫ সালে ছিল ৫২তম স্থানে। আজ আমরা উঠে এসেছি ৩৪তম স্থানে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় মোদি সরকারের অনন্য উদ্যোগ পিএম কিষাণ যোজনা। এই যোজনায় দেশের ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ কৃষক প্রতি বছর ৬ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন।
মোদিজি বিশ্বাস করেন, সাধারণ মানুষ এগিয়ে এলেই দেশ অগ্রসর হবে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে তিনি তা বাস্তবায়িত করেছেন। বর্তমানে মোদিজি ‘একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক’ বন্ধ করার ডাক দিয়েছেন। এই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সকলের কাছে প্লগিংয়ের আবেদন জানিয়েছেন। অর্থাৎ রাস্তা দিয়ে জগিং বা হাঁটার সময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্লাস্টিক তুলে তা যথাযথ স্থানে ফেলা। এই লক্ষ্যে মাত্র ১৫ দিনের প্রচারে ১৩ হাজার টন বর্জ্য প্লাস্টিক সংগ্রহ করা গিয়েছে।
ছ’মাস সময় আসলে খুব কম একটি সময়। কিন্তু আমরা যদি দ্বিতীয় দফার মোদি সরকারের সাফল্য বিচার করি, তবে তা অভূতপূর্ব বলে মানতেই হবে।
লেখক কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী