উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এই প্রবণতা অবশ্য নতুন নয় ইন্দোরেও গতকাল দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য। প্রিয়াঙ্কার রোড শো চলকালীন মোদি মোদি স্লোগান। ইন্দোরে প্রিয়াঙ্কা দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে হাতি মিলিয়ে বললেন, আপনারা আপনাদের কাজ করছেন, আমি আমার জায়গায় ঠিক, বেস্ট অফ লাক! পাল্টা ওই বিজেপি সমর্থকরাও বেস্ট অফ লাক বললেন। বারাণসীতে আজ প্রিয়াঙ্কার রোড শোতে অবশ্য সেই সৌহার্দ্য দেখা গেল না। কারণ প্রিয়াঙ্কা আসার আগেই গোধুলিয়া মোড়ে প্রায় হাতাহাতি আর সংঘর্ষ লাগার পরিস্থিতি। কারণ বিজেপি কংগ্রেসের রোড শো চলাকালীন এভাবে মোদি মোদি স্লোগান তোলার পরই পাল্টা তাবৎ কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা চৌকিদার চোর হ্যায় স্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত করেন। তৈরি হয় উত্তেজনা। এতক্ষণ গোটা পরিস্থিতি নেহাৎ নির্লিপ্তভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর অবস্থা আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে পুলিশ আর কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয় হয়। শুরু হয় বেধড়ক লাঠিচার্জ। তাড়া করে পৃথক করে দেওয়া হয় দু’পক্ষকে। পুলিশ কিয়স্ক থেকে ঘনঘন শুরু হয় ঘোষণা, বারাণসীর ঐতিহ্যের বদনাম হয় এরকম কোনও আচরণ কেউ করবেন না..যে দলেরই হোক কঠোর শাস্তি পেতে হবে। কংগ্রেস কর্মীরা বলছিলেন গতকাল কলকাতায় অমিত শাহের রোড শোতে তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করছে। তাহলে আজ বারাণসীতে প্রিয়াঙ্কার রোড শো তে কেন বিজেপি ঢুকে পড়ল? দু সপ্তাহ আগে যে রুটে নরেন্দ্র মোদি রোড শো করেছিলেন আজ ঠিক সেই রুটেই রোড শো করলেন প্রিয়াঙ্কা। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয় রোড শো। এবং বিস্ময়করভাবে যে বারাণসীতে কংগ্রেস ২০১৪ সালে মাত্র ৭৫ হাজার ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছিল আজ সেখানে রোড শো ছিল জনসমুদ্র। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দেখতে হাজার হাজার মানুষ এসেছিলেন। ফুলের মালা ছুঁড়েদিলেন সাধারণ মানুষ তাঁর দিকে। নেমে এসে তিনি জড়িয়ে ধরলেন শিশুদের,মহিলাদের। বাড়ি থেকে কেউ নিয়ে এসেছেন লাড্ডু, কেউ শাল, কেউ দুধ নিয়ে এলেন। মদনপুরায় প্রিয়াঙ্কাকে নামতেই হল। সেখানে মানুষের ভিড়ে মিশে গেলেন। এবং শুরু করলেন হাঁটা।
কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই নিজেই মাইকে বলছিলেন এসব মানুষ কিন্তু. গুজরাত থেকে আসেনি। এরা সকলেই বারাণসীর মানুষ। সুতরাং মোদিজীর মতো ভাড়া করে ভিড় করতে হয় না। আজ সকাল থেকেই বারাণসীর চারটি মন্দিরে চলেছে হোম যজ্ঞ। কংগ্রেসের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। প্রিয়াঙ্কা রোড শো শেষ করে বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন। এরপর গেলেন কালভৈরব মন্দিরে। আজ যতই ভিড় হোক অজয় রাই বারাণসীতে জিতবেন এরকম সামান্যতম সম্ভাবনা নেই। নরেন্দ্র মোদি জিতছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল মার্জিন বাড়বে নাকি কমবে? তবে একটা বিষয় স্পষ্ট হল প্রিয়াঙ্কা ছাপ ফেলতে শুরু করেছেন রাজনীতিতে। কারণ গোটা রোড শো চলাকালীন তাঁর সম্পর্কে সাধারণ মানুষের চর্চায় উঠে এল একটি শব্দ, খুব ম্যাচিওরড। একটাও অপশব্দ আজ পর্যন্ত ব্যবহার করেননি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ধীরে হলেও এগোচ্ছেন!