শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
গত বছর জুলাই মাসে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া প্রকাশ করেছে অসম সরকার। তাতে নাম বাদ পড়ে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের। যার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অসন্তোষ দেখা দেয়। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ তারিখের আগে সেই রাজ্যে এসেছেন এমন নাগরিকদের নাম ওই তালিকায় তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ঠিক তার একদিন পরেই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই লাখে লাখে মানুষ তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে অসমে চলে এসেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও অনুপ্রবেশের সংখ্যা কমেনি।
রাজ্যপাল জগদীশ মুখি আরও জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার অসমের আদি বাসিন্দাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘এনআরসি প্রক্রিয়া শুরুর পর কোনও অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশির ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া আর সম্ভব নয়। বিদেশিদের শনাক্ত করা গিয়েছে। এটা একটা বড় সাফল্য।’ তাঁর মতে, ঢাকার সঙ্গে মোদি সরকারের ভালো সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের আর্থিক বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে বাংলাদেশিরা বেআইনিভাবে অসমে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। অসম-বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এনডিএ সরকার। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সীমান্তের ৯৩ শতাংশ জায়গায় ইতিমধ্যেই বেড়া দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি অংশও সুরক্ষিত করার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-অসম সীমান্ত প্রায় ২৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। যার একটা বড় অংশই নদী।