শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত সান জিয়াং ও মালদহ থেকে গ্রেপ্তার হান জুনওয়ে আসলে সাইবার বিশেষজ্ঞ বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। জেরায় উঠে এসেছে, তাদের নিয়োগ করেছিল সাইবার চরবৃত্তি ইউনিট। তাদের কাজ হল সাইবার হানা ঘটিয়ে ভারতকে নাড়িয়ে দেওয়া। ইতিমধ্যে তারা জাপান, কোরিয়া সহ বিভিন্ন দেশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের বেশি সংখ্যায় রাখা হয়েছে এই টিমে। ‘গুরুদায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা এজেন্সি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থার ডেটাবেস চুরি করার। জানা গিয়েছে, তারা সকলেই ভারতে এসেছে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে। মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও, তারা ভারতেই থেকে গিয়েছে। হিন্দি সহ দক্ষিণ ভারতের একাধিক ভাষা শেখা শুরু করেছিল তারা। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে কী নথি জমা দেওয়া হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।
জেরায় সান জিয়াং স্বীকার করেছে, ভারতে এসে তারা বেশ কিছু সফটওয়্যার সংস্থা খুলেছে। প্রতারণার পাশাপাশি সরকারি সংস্থা ও তার পদস্থ কর্তাদের ডেটাবেস নেওয়ার কাজ চলছে সেখান থেকেই। বিভিন্ন কর্তাদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁদের ফোন করা হচ্ছে। জেনে নেওয়া হচ্ছে তাঁদের ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা ল্যাপটপের তথ্য। এরপরের কাজ হল, ম্যালওয়ার ঢুকিয়ে তাদের কম্পিউটার হ্যাক করে গোপন নথি চুরি করা। সেই সূত্র ধরে জেনে নেওয়া হচ্ছে সরকারি বিভিন্ন গোপন ফাইলের বিষয়ে। মূল টার্গেট সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, টেলিকমিউনিকেশন, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে এবং তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর। চীনা গুপ্তচর সংস্থার নির্দেশ, তাদের সীমান্তে কীরকমভাবে সেনা মোতায়েন করা হবে বা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে কী পরিকল্পনা ভারতের, সেই তথ্য হাতাতে বেশি জোর দিতে হবে।
সূত্রের খবর, ধরা পড়া চীনা নাগরিকরা ইতিমধ্যে দেড় হাজারের বেশি তথ্য চুরি করে গুপ্তচর সংস্থাকে পাঠিয়ে দিয়েছে। এরপরই উত্তরপ্রদেশ পুলিসের তরফে সমস্ত সরকারি নিরাপত্তা এজেন্সিকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে সাইবার সংক্রান্ত নথির সুরক্ষা বাড়াতে।