শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
দুর্যোগের পর থেকেই গোসাবা, সাগর, নামখানা ইত্যাদি এলাকায় বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে, ত্রাণের নামে ভিড় বাড়ছে। যা মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। আধিকারিকদের বক্তব্য, ত্রাণ দেওয়ার নাম করে একেকটি দলে প্রচুর লোক আসছে। করোনা আবহে ভিড় এড়িয়ে চলার কথা। অথচ নৌকা ভর্তি করে লোক এসে হাজির হচ্ছে। কখনও কখনও ২০০ জনকে ত্রাণ দিতে আসছেন শতাধিক ব্যক্তি। তাঁরা এসে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মানছেন না শারীরিক দূরত্ব। ফলে ভিড়ের মাধ্যমে প্রান্তিক এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। এই কারণেই ত্রাণ বণ্টন প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনা হচ্ছে। এক বিডিও’র কথায়, ত্রাণ দিতে আসার আগে ওই দলে কতজন থাকবেন, তা সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুমতি দেওয়ার সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে সেই দলে চার-পাঁচজনের বেশি লোক থাকতে পারবেন না।
জেলা সূত্রে খবর, ত্রাণ দিতে যাওয়ার আগে এখন থেকে প্রশাসনের অনুমতি লাগবে। এমনকী, কোন গ্রাম বা অঞ্চলে ত্রাণ দিতে হবে, তাও বলে দেবে প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে জেলার এক কর্তা বলেন, দেখা যাচ্ছে, পরিকল্পনার অভাবে অনেক সময় একই জায়গায় অনেক ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে যাচ্ছে। আবার কিছু কিছু এলাকার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। এই কাজে সমতা আনার কথা ভাবা হচ্ছে। তাই যাঁরা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা ঠিক করে দেওয়া হবে। ফলে সবার কাছেই সাহায্য পৌঁছে যাবে। তবে রান্না করা খাবার দেওয়া যাবে না। জলের বোতল দেওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারণ প্রশাসনের তরফে পর্যাপ্ত সংখ্যায় জলের বোতল এবং পাউচ দেওয়া হয়েছে।