শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
জয়নগর ২ ব্লকের ঘটিহারানিয়া এলাকার বাসিন্দা শিক্ষিকা মালতী হালদার। স্থানীয় ঘটিহারানিয়া হাইস্কুলের বাংলার এই শিক্ষিকা ২০১৭ সালের ৩১ মে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর স্বামী গোবিন্দ হালদারও ওই স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন। মালতীদেবী বললেন, করোনায় অকালে চলে গিয়েছে অনেক প্রাণ। হারিয়েছি অনেক আপনজনকে। আবার তৃতীয় ঢেউও আসতে চলেছে। ভাবলাম, গরিব মানুষদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য যদি কিছু করা যায়। জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার দক্ষিণাঞ্চল স্বাস্থ্য সদনে একমাত্র করোনা চিকিৎসা হয়। জয়নগর, কুলতলির লোকজনকে করোনা চিকিৎসার জন্য এই নার্সিংহোমেই ছুটতে হয়। কারণ, এখানে কোনও সরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা হয় না। এই নার্সিংহোমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি চিকিৎসা চললেও কিছু সরঞ্জাম আরও দরকার। তাই অবসরকালীন পাওয়া অর্থ থেকে ৫ লক্ষ টাকার চেক এই নার্সিংহোমে দিয়েছিলাম সরঞ্জাম কেনার জন্য। শিক্ষিকার পরিবারও খুশি এই কাজে। ছেলে অনিমেষ হালদার বলেন, মা নিজেই এই পরিকল্পনা করেছিলেন। গরিব মানুষদের পাশে বরাবরই দাঁড়াতে চান মা। শিক্ষিকার এই উদ্যোগের প্রশংসা করে অনেক বাসিন্দা বলেন, তাঁর এই অনুদানের ফলে ওই নার্সিংহোমে মানুষ করোনার সঠিক চিকিৎসা পাবে। নার্সিংহোমের চিকিৎসক ডাঃ শাহজাহান হালদার বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই একটি ভেন্টিলেটর, ৪-৫টি বাইপ্যাপ কিনতে পেরেছি। ওঁর মত সহৃদয় ব্যক্তিদের আরও এগিয়ে আসা উচিত।