শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
এই জালিয়াতির কাণ্ড হয়েছিল ২০১৯ সালের শেষদিকে। ২০২০ সালে ‘বর্তমান’-এর কাছে মুখ খোলেন অন্যতম প্রতারিত তরুণবাবু। লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও কোন এক অদৃশ্য জাদুবলে তাঁর কাছে এসেছিল ভেরিফিকেশন এবং কাউন্সেলিংয়ের ইমেল। আইডিতে (.gov.in) থাকায় তরুণবাবু ধরে নিয়েছিলেন এটি সরকারি বার্তা। পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস (পার) দপ্তরের একটি লিংক দিয়ে দেখতে বলা হয়। তিনি সেই লিঙ্কে গিয়ে দেখেন, প্রভিশনাল মেরিট লিস্ট বলে একটি তালিকায় তাঁর নাম দেখাচ্ছে। এরপরেই নিজেকে রাহুল নামে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করে তরুণবাবুর সঙ্গে। জানায়, ছ’লক্ষ টাকা দিতে রাজি থাকলে তরুণবাবুর চাকরি নিশ্চিত করে দেবে সে। প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে ওই ব্যক্তির ফাঁদে পা দেন তিনি। রাহুল নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণে এও প্রতিশ্রুতি দেয়, চাকরিতে জয়েনিংয়ের পরে ওই টাকা দিলেও চলবে। এরপর বনদপ্তর থেকে চাকরিতে যোগদানের ইমেল আসে। তরুণবাবুকে ময়ূখ ভবনে ইন্টারভিউয়ে নিয়ে যায় সে। কিছুদিন বাদে আসে জয়েনিং লেটারও। শালবনির একটি বিট অফিসে কাজে যোগ দেন। তাঁ সঙ্গে আরও একজন রাহুলের মাধ্যমে সেখানে গিয়েছিলেন। তাঁরা দু’মাস কাজ করে নগদ টাকায় বেতনও পান। এরপরই ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা বলেন, তাঁদের নিয়োগপত্রগুলি ভুয়ো।
প্রতারিত হয়েছেন, বোঝার পরে শালবনি থানায় এফআইআর দায়ের করতে গিয়েছিলেন তিনি। থানা তা নিতে রাজি না হওয়ায়, আদালতের মাধ্যমে এফআইআর করেন তরুণবাবু। ময়ূখ ভবন ইন্টারভিউ হওয়ায় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম বিভাগ তাঁর থেকে ইন্টারভিউ লেটার এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্রমাণ নিয়ে গিয়েছে। তবে ঘটনার পর দেড় বছর গড়িয়ে গেলেও মামলা যে কে সেই অবস্থায়। সম্প্রতি তিনি জানতে পেরেছেন, প্রতারক ওই ব্যক্তির আসল নাম সিঞ্চন জোয়ারদার। দক্ষিণ কলকাতা এবং শহরতলিতে তার একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। সিঞ্চনের পাসপোর্টের প্রতিলিপিও জোগাড় করেছেন তরুণবাবু। এরপর আসল নামেও আদালতের মাধ্যমে শালবনি থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তরুণবাবুর দাবি, একাধিক অভিযোগ হওয়ায় ওই ব্যক্তি বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আর যে কায়দায় প্রতারণা হয়েছে, তাতে আরও অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জড়িয়ে থাকতে পারেন, এই আশঙ্কায় পুলিসও কিছু করছে না।