নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: করোনায় মারা যাওয়া এক বৃদ্ধের দেহ মর্গে পড়ে রইল প্রায় ৪৫ ঘণ্টা। দেহ সৎকার করা নিয়ে রেল হাসপাতাল এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে চাপানউতোর চলল। অবশেষে ওই বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ শুরু করলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। ৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ লিলুয়া রেল হাসপাতালে করোনার কারণে মারা যান বেলুড়ের বিভূতিভূষণ ব্যানার্জি লেনের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী কার্তিক বাইন (৬৭)। সোমবার কার্তিকবাবুর মেয়ে কমলিকা বাইন অভিযোগ করেন, হাসপাতালের তরফে বলা হয়, আমরা চাইলে মৃতদেহ আমাদের দায়িত্বেই নিয়ে যেতে পারি। তা না হলে, হাসপাতাল পুরসভার মাধ্যমে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করবে। সেইমতো কমলিকারা ভেবেছিলেন, করোনা বিধি মেনে যথাযথভাবেই সৎকার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে তাঁদের বলা হয়, পুরসভার গাড়ি আসেনি। তাই এখনও দেহ পড়ে রয়েছে মর্গে। তাই ওই দেহ ব্যক্তিগত উদ্যোগেই যেন নিয়ে যান তাঁরা।
ফোন পাওয়ার পর ওই পরিবারের প্রতিবাদে বিষয়টি সামনে এলে তৎপরতা শুরু হয় প্রশাসনে। এদিন বেলা আড়াইটে নাগাদ পুরসভার শববাহী গাড়ি এসে মৃতদেহটি নিয়ে গিয়ে সৎকারের ব্যবস্থা করে। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের তরফে এক পদস্থ কর্তা জানান, ওঁর মৃত্যুর পরে জেলার যে মৃতদেহ সৎকার সেল রয়েছে, সেখানে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা জানায়, অনেক লম্বা লাইন রয়েছে। তাই রোগীর পরিবার চাইলে নিজেরা সৎকারের ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু পরিবার আগ্রহ না দেখানোয় মর্গে দেহ রাখা হয়েছিল।