আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
মৃতার নাম গীতা কুমারী। বয়স ৮৫ পার হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিবারের পরিচিত এক ডাক্তার মৃত্যুর শংসাপত্র দেন। তবে বিপত্তি শুরু হয় এরপরে। ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পরে স্থানীয় থানা এবং পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দেহ সৎকারের কাজে চলতে থাকে প্রশাসনের নানা টালবাহানা। পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও নানা অজুহাত দেখানো হতে থাকে। এলাকাবাসীর তরফে জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধা তাঁর ভাইয়ের কাছে থাকতেন। ওই পরিবারে মৃত ব্যক্তি ছাড়াও আরও তিনজন সদস্য রয়েছেন। প্রত্যেকেই কোভিডে আক্রান্ত। ফলে তাঁদের পক্ষে রাস্তায় বেরিয়ে মৃতদেহ সৎকারের কাজে তদারকি করা সম্ভব নয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা করুণাময়ী আবাসন চত্বরে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতার পরিবারের উপরের তলার বাসিন্দা মানস দাস জানিয়েছেন, শনিবার রাত দু’টো পর্যন্ত পুলিস এবং পুরসভার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
অবশেষে এদিন সকালে ওই আবাসনে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি পাঠায় বিধাননগর পুরসভা। সকাল সওয়া দশটা নাগাদ গাড়ি আসে। মিনিট পনেরোর মধ্যে মৃতার দেহ শ্মশানে নিয়ে চলে যাওয়া হয়।