প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
পর্ষদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া একটি মামলার রায়কে হাতিয়ার করে সওয়াল করেন। ২০১৮ সালে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর করা মামলায় রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় সরকারের পক্ষেই গিয়েছিল। সেটিকে টেনে এনে এই মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন পর্ষদের আইনজীবীরা। কিন্তু বিচারপতি বলেন, ওই রায় ছিল সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গে। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা বলেছিলেন, খাতার পুনর্মূল্যায়ন করা আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ সেই কাজে আদালতের পারদর্শিতা নেই। তাই সেই রায়ের সঙ্গে এই মামলার তুলনা টানা যায় না। কলকাতা হাইকোর্ট বরং ১৯৯৫ সালে হওয়া একটি মামলার প্রসঙ্গ টেনে আনে। এক ছাত্রীর করা মামলায় সেবার বিচারপতি রায় দিয়েছিলেন সরকারের বিরুদ্ধেই। বিচারপতি সিনহা এদিন রায় দিতে গিয়ে বলেন, খাতা রিভিউয়ের সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সফল-অসফলের কোনও বিভাজন থাকার কথা নয়। কিন্তু মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তা করে। সেটা একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়। কে কত পেয়েছে, তার ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের বিভাজন পর্ষদ করতে পারে না। একজন সফল প্রার্থীর নম্বর নিয়ে অসন্তোষ থাকতে পারে। তাই সব পরীক্ষার্থীরই রিভিউয়ের সুযোগ পাওয়া যুক্তিসঙ্গত। মামলাকারীকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পর্ষদকে বলেছেন, অন্যান্য আবেদনকারীদের মতোই তার রিভিউয়ের আবেদনও সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর রাজ্য সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের এই রায়ের পরে পর্ষদের উচিত, বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতকার্য সকল ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদেরই পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউয়ের সুযোগ করে দেওয়া। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এই সুযোগ অনেক দিন থেকেই দিয়ে থাকে। মঙ্গলবার পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সভাপতি হিসেবে অস্থায়ীভাবে দায়িত্বভার নিয়েছেন কার্তিক মান্না। এদিন একাধিকবার ফোন করেও অবশ্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।