প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
জানা গিয়েছে, আহিরীটোলার কাছে জোড়াবাগান এলাকায় স্বামী গোপাললাল সাহার সঙ্গে থাকতেন বাসন্তীদেবী। দম্পতির একমাত্র মেয়ের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া বাড়িতে আর কেউ থাকতেন না। এরই মধ্যে গত দু’মাস আগে গোপালবাবুর বোন শোভাদেবী হঠাৎই এসে ওই বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তার আগে গত ৩০ বছর গোপালবাবুদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না তাঁর। অভিযোগ, ওই বাড়ির একাংশ তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য দাদা-বউদির উপর চাপ দিচ্ছিলেন শোভাদেবী। কিন্তু, ননদের ওই ‘আব্দার’ মানতে রাজি হননি বাসন্তীদেবী। যা নিয়ে আক্রোশ দানা বাঁধছিল শোভাদেবীর মনে।
আর পাঁচটা দিনের মতো সোমবার রাতে নিজের ঘরে শুতে চলে গিয়েছিলেন বাসন্তীদেবী। আর গোপালবাবু শুয়েছিলেন পাশের অন্য একটি ঘরে। মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ আচমকাই বাসন্তদেবীর ঘর থেকে চিৎকার শুনে ছুটে আসেন গোপালবাবু। দেখেন, ঘরের ভিতর ছুটে বেড়াচ্ছেন স্ত্রী। সর্বাঙ্গে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। প্রাথমিকভাবে তিনিই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে সেখানে জড়ো হয়ে যান প্রতিবেশীরাও। এরপরই খবর দেওয়া হয় জোড়াবাগান থানায়। পুলিস এসে বৃদ্ধাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, বৃদ্ধার শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। বাঁচার আশা প্রায় নেই। তাই দেরি না করে পুলিস বৃদ্ধার জবানবন্দি নিতে তৎপর হয়। পুলিসকে ওই বৃদ্ধা জানান, ভোরবেলা ননদ শোভাদেবী হাতে কেরোসিনের জার নিয়ে তাঁর ঘরে এসেছিলেন। তিনি ওই তেল তাঁর শরীরে ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। বৃদ্ধার বক্তব্যকেই এফআইআর হিসেবে গণ্য করে পুলিস শোভাদেবীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। কিন্তু, তাঁকে গ্রেপ্তার করতে এসে তদন্তকারীরা দেখেন, ভিতর থেকে তালা দিয়ে ঘরের ভিতরে লুকিয়ে রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পুলিস বাধ্য হয়েই দরজা ভেঙে ফেলে। তারপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন শোভাদেবীকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে বিচারক মনোদীপ দাশগুপ্তের এজলাসে তোলা হয়। সেখানে সওয়াল-জবাবের পর বিচারক তাঁকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।