প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
শুধু রঞ্জন দাস নয়, এভাবে প্রতিদিনই শ’য়ে শ’য়ে যাত্রীকে প্ল্যাটফর্ম থেকেই কার্যত ছিনিয়ে যাচ্ছে গাড়ি-দালালরা। হাওড়া স্টেশন এখন দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এরাজ্যের যাত্রীর সঙ্গেই যদি এই আচরণ করা হয়, তাহলে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা হলে কী হবে, তা বোঝাই যায়। যাত্রীদের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি হাওড়ায় নবরূপে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ চালু হয়েছিল। হাওড়া সিটি পুলিস এবং পরিবহণ দপ্তরের নজরদারিতেই চলে এই বুথ। অভিযোগ, বর্তমানে হাওড়া স্টেশনে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রাইভেট নম্বরের গাড়িতে বেআইনিভাবে যাত্রীদের তুলে তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। খোদ হাওড়া সিটি পুলিসের চোখের সামনেই রমরমিয়ে চলছে এই কারবার। যাত্রীদের অভিযোগ, দালালদের সঙ্গে প্রশাসনের একাংশের যোগসাজশ রয়েছে। একটু সতর্ক না হলেই ঠকে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। কলকাতায় পা দেওয়ার পর যাত্রীদের এই তিক্ত অভিজ্ঞতা বাংলার সুনামের পরিপন্থী বলেও মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, হাওড়ায় তিনটি প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ রয়েছে। আগে ৩২ কিলোমিটারের সীমার মধ্যে এই পরিষেবা মিলত। সম্প্রতি তা বাড়িয়ে ৩৮ কিলোমিটার করেছে পরিবহণ দপ্তর। বর্তমানে হাওড়া থেকে শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, ডানকুনি হাউসিং, শ্যামনগর, বারাসত চাঁপাডালি, সোনারপুর, আমতলা বাস স্ট্যান্ড, বারুইপুর, ডোমজুড়, রানিহাটি পর্যন্ত এই পরিষেবা পাওয়া যায়। সূত্রের দাবি, আগে দিনে প্রায় হাজার চারেক ট্যাক্সি হাওড়া স্টেশন থেকে যাত্রীদের শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিত। করোনা আবহে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় তা দৈনিক ৪০০-তে নেমে এসেছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় তৈরি হওয়া এই প্রিপেড ট্যাক্সি বুথের সার্বিক অবনমন আগামী দিনে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যাত্রীদের ন্যায্য ভাড়ায় পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে দালালদের দাপটে সেই উদ্দেশ্য মাঠে মারা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (ট্রাফিক)-এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।