প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
সোমবার রাত ৮টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে বউবাজার থানা এলাকার চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে। নির্যাতিতার অভিযোগ, ঘটনার সময় ওই পুলিস অফিসার ‘মদ্যপ’ অবস্থায় ছিলেন। বউবাজার থানায় লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁরা চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে গাড়ি পার্ক করে কফি শপে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় এক মদ্যপ ব্যক্তি তাঁদের গাড়ি আটকে গালিগালাজ শুরু করে। তাঁরা প্রতিবাদ করলে, সাদা পোশাকে থাকা ওই পুলিস অফিসার তাঁদের জোর করে আটকে শ্লীলতাহানি ও মারধর করে। এমনকী তাঁদের গাড়িচালকের হাতও ভেঙে দেন তিনি। বাধ্য হয়েই ওই নির্যাতিতা ১০০ ডায়ালে ফোন করেন। এরপর বউবাজার থানা থেকে পুলিস আসে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিস অফিসার হওয়ায় বউবাজার থানা ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ। দীর্ঘ টালবাহানার পর নির্যাতিতার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। যার ভিত্তিতে বউবাজার থানার পুলিস শ্লীলতাহানি, মারধর, কটূক্তি, অবৈধভাবে আটকে রাখা সহ রূপান্তরকামী রক্ষা ও অধিকার আইনে মামলা দায়ের করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
পুলিসের একাংশ জানাচ্ছে, ১৯৯৯ ব্যাচের এই পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে অতীতেও এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় তিনি শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডে ছিলেন। তবে সোমবার রাতের ঘটনা নিয়ে বক্তব্য জানতে মোবাইলে ওসির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এক মহিলা (সম্ভবত স্ত্রী) বলেন, কিছু বলার মতো থাকলে আমরা পরে জানাব। নির্যাতিতা নিজে এই রাজ্যের ট্রান্সজেন্ডার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সদস্য হওয়ায় এই অভিযোগ অন্য মাত্রা পেয়েছে। শহরের রাজপথে ভরসন্ধ্যায় পুলিসের হাতে আক্রান্ত হওয়ায় রাতের শহরে রক্ষকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কলকাতা পুলিসের ওসি পদমর্যাদার কোনও সিনিয়র অফিসারের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ কার্যত নজিরবিহীন। কলকাতা পুলিসের এই ওসিকে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হলে বিচারক শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে, এই ঘটনায় নির্যাতিতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস যে সব ধারায় মামলা দায়ের করেছে, তা নিয়ে আইনজীবী মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় দায়ের হওয়া শ্লীলতাহানির অভিযোগ এক্ষেত্রে কতটা আইনি জমি পাবে, তা নিয়ে সন্দিহান আইনজীবীরাই। কেননা, বর্তমান আইনে শ্লীলতাহানি কেবলমাত্র মহিলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। একজন রূপান্তরকামীর ক্ষেত্রে এই অভিযোগ খাটে না, বলছেন আইনজীবীরা।