সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদিকে, সল্টলেকে একটি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মিড ডে মিলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র কেন রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম না করে তিনি বলেন, যিনি ওই স্কুলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, তাঁকে বলব, তিনি যাতে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তুলে ধরেন। তিনি যেন বিষয়টাকে পতাকা দেখে নয়, হৃদয় দিয়ে দেখেন। সবাইকে সাবধান করতে চাই, এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না হয় তার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
ফ্যানভাত কাণ্ডের জেরে আজ, বুধবার ১০০০টি স্কুলে আচমকা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আবার হুগলি জেলা পরিষদ সমস্ত স্কুলে মিড ডে মিল বিষয়ে খোঁজ নিতে পৃথক পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন স্কুলে অভিভাবকদের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। নিজেকে অভিভাবক দাবি করে এক বাউল মিড ডে মিলে অনিয়ম নিয়ে গান বেঁধে স্কুলের সামনে গাইতে শুরু করায় একপ্রস্থ বিতর্ক হয়েছে। দুপুরে স্কুলে গিয়ে শিক্ষিকাদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়ে বচসায় জড়ান পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান তথা চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়।
হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, আগে একবার ওই স্কুলকে সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু সংশোধন না হওয়ায় দু’জন শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এদিন মহকুমা শাসককে সরজমিনে পরিস্থিতি দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। স্কুলের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় যাতে মিড ডে মিল নিয়ে সমস্যা না হয় তার জন্যে পৃথক পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ২১ আগস্ট জেলার ১০০০টি স্কুল একদিনে পরিদর্শন করব। গৌরীকান্তবাবু বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে মিড ডে মিলের আয়োজন এদিন করা হয়েছে। আপাতত এই ব্যবস্থাই বহাল থাকবে। পুরো ঘটনা একটি চক্রান্তের অংশ। আমি এখনও ভাবছি, যে শিক্ষিকা ওই খাবারের মেনু লিখলেন তাঁর হাত কেঁপেছিল কি না! তবে অনিয়মের জেরেই যে এই অব্যবস্থা তা অবশ্য এদিনও এড়িয়েছেন পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান।
হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায় বলেন, আমরা বৈঠক করে সমস্ত স্কুলে মিড ডে মিল খতিয়ে দেখার জন্যে পরিদর্শক টিম গড়েছি। এসপ্তাহ থেকে ধারাবাহিক পরিদর্শন চলবে। স্কুলের অন্তর্কলহে শিশুরা পুষ্টিকর খাবার পাবে না, এটা বরদাস্ত করা হবে না। স্কুলের এক ছাত্রীর মা মিঠু পাল বলেন, যা হয়েছে তা হয়ে গিয়েছে। আগামীতে হবে না এটাই প্রত্যাশা করব। তবে স্কুলের ডামাডোলে শিক্ষার্থীদের সমস্যায় ফেলা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
উল্লেখ্য, সোমবার হুগলির চুঁচুড়া বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে রীতিমতো বোর্ডে লিখে শিক্ষার্থীদের ফ্যানভাত ও নুন খাওয়ানো হয়। যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিভাবক থেকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের মিড ডে মিলে সীমাহীন অনিয়মও প্রকাশ্যে আসে। এরপরই এদিন শিক্ষার্থীদের ডাল, ডিম সেদ্ধ দিয়ে ভাত খাওয়ানো হল। প্রশাসন অবশ্য তদন্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে।