কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
আমদাবাদ গ্রামের শুভেন্দুশেখর পাত্র, হিমাংশু দাস, সুখদেব বেরা, অদ্বৈত্য শাসমল সহ মোট আটজনের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। তাঁরা আগেই আবাস যোজনায় টাকা পেয়েছেন। তাঁদের কেউ বাড়ি বানিয়েছেন, আবার কেউ অর্ধেক বানিয়ে রেখে দিয়েছেন। আশ্চর্যজনকভাবে এবার তাঁদের নাম ছিল। এর আগে ওই প্রকল্পে টাকা পাওয়ার কথা গোপন করে এবারও উপভোক্তা হিসেবে টাকা পেয়েছেন। টাকা ঢোকার পরই এনিয়ে ওই এলাকা থেকে বিডিও অফিসে অভিযোগ আসতে শুরু করে। ব্লক প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ তদন্তে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলে। ব্যাঙ্কে চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দেন বিডিও।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে শুভেন্দুশেখর পাত্র আবাস যোজনায় টাকা পান। অর্ধেক পাকাবাড়ি বানানোর পরই সেই কাজ সম্পূর্ণ করেননি। এবার ফের আবাস যোজনায় নাম তুলেছিলেন। ব্লক প্রশাসন তাঁর বাড়ি ভিজিটের পর উপভোক্তা হিসেবে লিস্টে নাম ওঠে। পাশাপাশি প্রথম কিস্তির টাকাও পেয়ে গিয়েছেন। যদিও বিডিও তাঁর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিতেই শুভেন্দুশেখরবাবু টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ৬০হাজার টাকা সরকারি অ্যাকাউন্টে জমা করবেন বলেও জানিয়েছেন। একইভাবে হিমাংশু দাস, সুখদেব বেরা, অদ্বৈত শাসমলের স্ত্রীর নামে আগেই আবাস যোজনার টাকা ঢুকেছে। সেই টাকায় পাকাবাড়ি বানানোর পর এবার ফের গৃহকর্তাদের নাম আবাস তালিকায় ছিল। তাঁদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকার পরই ওইসব উপভোক্তার বিরুদ্ধে বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। ব্লক প্রশাসন গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো তাঁদের প্রত্যেককে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও।
আমদাবাদের বাসিন্দা তাপস মান্না এর আগে আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েছেন। এবার তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী মান্নার নাম উপভোক্তা তালিকায় রয়েছে। ছেলে এবং বউমা দু’জনেই প্রাইমারি শিক্ষক শিক্ষিকা। তনুশ্রীর বিরুদ্ধে বিডিও অফিসে অভিযোগ জানানোর পরই তড়িঘড়ি তাঁর অ্যাকাউন্টে আবাস প্রকল্পের টাকা পাঠানো বন্ধ করা হয়েছে। বিডিও বলেন, অভিযোগ আসার পরই তনুশ্রী মান্নার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো বন্ধ রাখা হয়।
আবাস যোজনার টাকা পেতে অনেকেই পাকাবাড়ির কথা বেমালুম গোপন করেছেন। ভিজিটের দিনে কেউ অন্যের কাঁচাবাড়িও দেখিয়েছেন। আবার, রান্নাঘরে তক্তপোশ ফেলে শুধুমাত্র ভিজিটের দিনে সংসার পাতার ঘটনাও ঘটেছে। আবাস যোজনার ১লক্ষ ২০হাজার টাকা পেতে এভাবে অনেক উপভোক্তা প্রশাসনকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। তবে, টাকা ঢুকে যাওয়ার পরও উপভোক্তা ‘যোগ্য নন’ বলে প্রমাণ পেলে প্রশাসন সেই টাকা ফেরত নিচ্ছে। নন্দীগ্রাম-২ বিডিও বলেন, আমরা আটজন উপভোক্তাকে টাকা ফেরত দিতে বলেছি। তাঁদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে।