কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারী বলেন, ট্রাফিক সিগন্যালের বিষয়টি এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে। সংশ্লিষ্ট স্থানগুলিতে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ার থাকে। তবে ২৪ ঘণ্টার জন্য ট্রাফিক সিগন্যাল বসাতে পুলিস প্রশাসনকে জানাবো।
আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, ওই স্থানগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ট্রাফিক শাখাকে বলা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের লিংক রোড একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। আরামবাগ থেকে কলকাতার পাশাপাশি বর্ধমান, বাঁকুড়া ও মেদিনীপুর জেলায় যাতায়াত করা যায়। ফলে নিত্যদিন কয়েক হাজার যান চলাচল করে এই রাস্তার উপর। আরামবাগ শহরে লিংক রোডের উপরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নানা ব্যাংক, শপিং মল সহ বহু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে শহরের বাসিন্দারাও বিভিন্ন সময় এই লিংক রোডকেই ব্যবহার করেন। যানজট কমাতে আরামবাগ শহরের বাসুদেবপুর মোড়, গৌরহাটি মোড়, বসন্তপুর মোড়, নেতাজি স্কয়ার, পল্লিশ্রী প্রভৃতি জায়গায় ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হয়েছে। এমনকী, ভারী যান চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে নির্দিষ্ট সিগন্যাল মেনেই যান চলাচল করে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি দিয়ে। কিন্তু গৌরহাটি মোড় থেকে বসন্তপুর মোড়ের মাঝে ফোর লেনের এই রাজ্য সড়ক পারাপারের ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ সেখানে ট্রাফিক সিগন্যাল নেই। বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেও নেই। তারফলে রাস্তা পারাপার করা নিয়ে অনেক সময় বাসিন্দাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অবশ্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন করা হয়। কিন্তু বাকি সময় তা অরক্ষিত থাকে। তরফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। আরামবাগ শহরের বাসিন্দা মানব নন্দী, রূপম ঘোষ বলেন, লিংক রোডের কয়েকটি জায়গায় রাস্তা পারাপার করা ঝুঁকিপূর্ণ। ব্যস্ততম এই রাস্তায় গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিতে ট্রাফিক সিগন্যাল না থাকায় বিভিন্ন সময় যানগুলি বেপরোয়াভাবেও যাতায়াত করে। তার ফলে যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সেখানে সব সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য সিগন্যাল পোস্ট প্রয়োজন।