কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিতুড়িয়া থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্পঞ্জ তথা স্টিল প্রস্তুতকারক কারখানা রয়েছে। সেই কারখানার কাঁচামাল হিসেবে কয়লা, আকরিক লোহা ও বেশকিছু দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার্য কাঁচামালের উচ্ছিষ্ট অংশ ছাই হিসেবে থেকে যায়। সেই ডাস্ট কারখানার নিজস্ব জমিতে জড়ো করে রাখা হয়। কিন্তু বর্তমানে কারখানাগুলিতে জায়গার অভাব হয়েছে। তাই ডাস্ট বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হচ্ছে। মূলত ডাস্ট বিভিন্ন পরিত্যক্ত, নিচু জমি ভরাটের কাজে ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ, বর্তমানে জায়গা না পাওয়ায় কিছু মাফিয়া কারখানাগুলির সাথে সম্পর্ক রেখে এক শ্রেণির আধিকারিকদেরকে হাত রেখে রাজ্য সড়কের দু’পাশে ডাস্ট ফেলে দিচ্ছে। সেই ডাস্ট বাতাসে উড়ছে। বর্তমানে নিতুড়িয়ার গোবাগ থেকে পারবেলিয়া বাজার এলাকা পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে যত্রযত্র ছাই ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসনের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে রঘুনাথপুর থানা এলাকায় এভাবে রাস্তার ধারে ছাই ফেলা হয়। তৎকালীন মহকুমা শাসক ও পুলিসের তৎপরতায় মাফিয়ারা ছাই ফেলা থেকে পিছু হাটতে বাধ্য হয়। তবে বর্তমানে নিতুড়িয়ার পাশাপাশি রঘুনাথপুর থানা এলাকায় আবার সেই ট্রাডিশন শুরু হয়েছে।
রঘুনাথপুর পূর্তদপ্তরের(সড়ক) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অপূর্ব রায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মহকুমা প্রশাসনের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফ থেকে স্পঞ্জ আয়রন কারখানাগুলিকে সাফ নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। ছাই যে সব জায়গায় ফেলা যাবে, সেটা কারো ব্যক্তিগত জায়গা হতে হবে। সে ক্ষেত্রে যার জায়গায় ডাস্ট ফেলা হবে তার একটি অনুমতিপত্র নিয়ে মহকুমা শাসকের দপ্তরে জমা দিতে হবে।
নিতুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা তথা এসইউসি দলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি নবনী চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য সড়কের দু’পাশে যেভাবে অবাধে ছাই ফেলা হচ্ছে তা এলাকাকে দূষণ করছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে ব্লক, মহকুমা, জেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।